মহুলবনের কান্না
মণিশঙ্কর
প্রচ্ছদ শিল্পী : চন্দন মিশ্র
মণিশঙ্করের অন্যান্য উপন্যাসের মতো 'মহুলবনের কান্না'ও একটি ব্যতিক্রমী কাজ। দীর্ঘ বারো বছরের গবেষণার ফসল এই উপন্যাসেও পাঠকের জন্য রয়েছে অজানা চমক।
মহিষাসুর মর্দিনী মূর্তিটি বাঙালির কাছে অত্যন্ত পরিচিত। মার্কেণ্ডেয় পুরাণে বর্ণিত মহিষাসুর বধের কাহিনি অবলম্বনে কল্পিত হয়েছে ভাস্কর্যটি। ওই কাহিনিতে আমরা পাই, অসুর দেহবলে মদমত্ত হয়ে স্বর্গরাজ্য আক্রমণ করেছে। তা উদ্ধারের জন্যেই দেবী দুর্গা ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের ত্রিনয়ন থেকে আবির্ভূতা হন। মহিষাসুরকে বধ করেন।
দেবীর এই মূর্তিটিই অকালবোধনে কল্পিত। তারই ফলশ্রুতিস্বরূপ বাঙালির শারদোৎসব।
ঠিক এরই বিপ্রতীপে অসুর, সাঁওতাল, বাউরী, লোহার, হাঁড়ি ইত্যাদি জনজাতির মানুষ ওই চারদিন অশৌচ পালন করে। দাঁশাই নাচে। নারী সেজে কেঁদে বেড়ায়। নারী সাজেই কাঠিনাচের তালে তালে ঝরে পড়ে বাউরী-লোহার-হাঁড়িদের কান্না। কিন্তু কেন? কোন কাহিনির দীর্ঘশ্বাস বয়ে বেড়াচ্ছে এই কান্নার অন্তরালে তাই নিয়েই এই উপন্যাস। পরিণতি হীন এক প্রেম কাহিনির বেদনা দীর্ণ কথকতা।
কেমন ছিল তখন সমাজ? উৎপাদন ব্যবস্থা? রীতি-নিয়ম? নর-নারীর সম্পর্ক? প্রেম-ভালোবাসা? নারীর স্থান? এ-সবই ছায়া ফেলেছে উপন্যাসটিতে। এই যে একের বিপ্রতীপে আরেক, আরেক কাহিনির আবর্তন তাকেও পাঠকের সামনে তুলে ধরার তাগিদ।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি