মার্জিন | বোধশব্দ ২০২৩
যা আছে, সেদিকে তাকানোই আমাদের স্বাভাবিক প্রবণতা। যা নেই, তাতে আমাদের নজর সচরাচর পড়ে না। কিন্তু একটু তলিয়ে ভাবলেই বোঝা যায়, যা নেই, আসলে তা কী ভীষণরকম আছে। ওই আপাত-অনুপস্থিতিই বেঁধে রেখেছে আমাদের যাবতীয় উপস্থিতিকে।
মার্জিনও এমন এক অনুপস্থিতির বৃত্তান্ত। বইয়ের পাতায় আমরা যেমন নজর করি ছাপা হরফ কিংবা ছবি, কিন্তু তার ভিতর ও বাহিরে নানাভাবে খেলা করে যায় ফাঁকা স্থান। কখনো তার পারিভাষিক নাম হয় ‘কার্নিং’, কখনো ‘লেডিং’, কখনো আবার ‘রিভার’। আর এসব সূক্ষ্ম বিচারেরও ঢের আগে আসে মার্জিন। প্রান্তদেশ। কিনারা। এই শূন্যস্থানই ধরে রাখে আমাদের সমগ্র পাঠবস্তুকে। হয়ে ওঠে আমাদের পাঠ প্রক্রিয়ার অনিবার্য অঙ্গ। কখনো তা লেখাকে দৃশ্যত সুপাঠ্য করে তোলে। কখনো হয়ে ওঠে আমাদের পাঠকমনের আয়না—লেখায়-আঁকায়, প্রতিবাদে-সহমতে ভরে যায় পাতার ওই চারটি শূন্য প্রান্ত—জন্ম নেয় মার্জিনালিয়া। মনে রাখা জরুরি, ‘কিনারা’ শব্দেরই আরেকটি অর্থ সমাধান। কোন গভীরতর অনুসন্ধানের বীজ লুকিয়ে থাকে ফাঁকা মার্জিনে?
প্রাচীন পুথি, মুদ্রিত কিতাব কিংবা অত্যাধুনিক ই-বুক—মার্জিনের বৈচিত্র্য ও বিবর্তন লক্ষ করার মতো। সেসব সবিস্তার ধরা রইল এই সংখ্যায়। উঠে এসেছে মার্জিনালিয়া বা মার্জিন-মন্তব্যের দিকটিও। বাংলার সামাজিক-সাংস্কৃতিক পরিপ্রেক্ষিতে যেমন বিষয়গুলি আলোচিত হয়েছে, তেমনই দেশ-বিদেশে এই নিয়ে যে-চর্চা, তা যতটা সম্ভব তুলে ধরারও চেষ্টা করা হল। মোট ৯টি পর্বে বিন্যস্ত ‘বোধশব্দ’ পত্রিকার সুবৃহৎ এই মার্জিন সংখ্যা।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.