মায়ামঞ্জরী
দীপিকা মজুমদার
দ্বাদশ শতকের চালুক্য বংশের এক অন্যতম রাজা কুমারপাল যিনি রাজবংশের সন্তান হয়েও জীবনের। প্রথমার্ধ আত্মগোপন করে নির্বাসনে কাটাতে বাধ্য হয়েছিলেন। অধুনা গুজরাট রাজ্যের পাটন শহর, তৎকালীন অনাহিলওয়ারার সিংহাসন আরোহনের পর তিনি জালনা রাজ্যের সাতশো পাটোলা বস্ত্র বয়ন শিল্পীকে নিজের রাজে আমন্ত্রিত করে নিয়ে আসেন এবং পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেন। অদ্ভুতপূর্ব সেই পাটোলা বস্ত্র যা কিনা আজ গুজরাট রাজোর ঐতিহ্যবাহী বস্ত্র শিল্পের অন্যতম, তার জন্মস্থান কিন্তু গুজরাটে নয়। বয়ন পদ্ধতি এতোটাই জটিল ও প্রাচীন যে পৃথিবীর বহু দেশ চেষ্টা করেও এই হস্তশিল্পটিকে আয়ত্ত করতে পারেনি। সম্পূর্ণ বয়ন পদ্ধতি। আয়ত্ত করতে এক একজন শিল্পীর গড়ে প্রায় আঠেরো বছর পর্যন্ত সময় লেগে যেত। বয়ন পদ্ধতিটিকে পরিবার ও বংশ পরম্পরায় সীমিত রাখার জন্য শিল্পীরা পরিবারের কন্যা সন্তানকে এই শিল্পকলায় শিক্ষিত করতে চাইতেন না। অর্থাৎ যে নস্ত্র কন্যার পরিধানের অধিকার আছে, সেই বস্ত্র নির্মাণে কন্যা সন্তানের। অধিকার ছিল না।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি