কালদক্ষিণা
প্রতিবর্ত অভিষেক অধিকারী
তখন পূবের আকাশে আঁধার ক্ষীণ হতে শুরু করেছে। আর সেই ক্ষীণ আলোয় অঞ্জনা দেখে ধূসর অম্বরাঙ্গণে উদিত হয়েছে এক নূতন চন্দ্রগোলক। প্রকারে তা পৌর্ণমাসী, আকারে শতগুণ। হাত বাড়ালেই ছোঁয়া যাবে তাকে। আর সেই চন্দ্রগোলকে বসে আছে এক রক্ষপুরুষ। যার নিক্ষিপ্ত শরে মুহূর্ত আগে প্রাণ গেছে তার প্রিয়তমা সহচরী ঋক্ষ্যার। বিষাদমলিন কন্ঠস্বরে কথা বলে ওঠে সেই পুরুষ। যে কন্ঠস্বর নিদাঘকালের মেঘগর্জনের ন্যায় গম্ভীর, মাঝসমুদ্রের জলরাশির মত শান্ত। "ওই রুদ্রকলস, পক্ষীদের পাপ। কিন্তু তুমি তো পক্ষিণী নও, তাম্রপ্রভে। তবে কোথায় পেলে এই রুদ্রকলস যার সন্ধানে আমি নিযুত পক্ষীর আহুতি দিয়েছিলাম?"
রক্ষপুরুষ বাঙময়দৃষ্টিতে তাকায় অঞ্জনার দিকে। কথা আসে না অঞ্জনার কন্ঠে। ভুজঙ্গ যেমন গ্রাসের আগে শশককে বিবশ করে ফেলে, তেমনই সম্মোহিত লাগে কেশরীপ্রিয়াকে।
"নাগিনীও নও তুমি, বিম্ববতী। এই ক্ষেত্রে নাগেদেরই বাস ছিল বটে কিন্তু তোমার কর্ণ দীর্ঘ, ওষ্ঠাধর ক্ষীণা—"
রক্ষপুরুষের ভাসমান চন্দ্রাসনটা এসে থামে চট্টনের এক শিলাখণ্ডের গায়ে।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি