মেঘ ভাঙা বৃষ্টি

মেঘ ভাঙা বৃষ্টি 

সমীরণ গুহ 

প্রচ্ছদ : তন্ময় পাল

প্রকৃত প্রেমের কাজই হলো গণ্ডিকে ভেঙ্গে এগিয়ে যাওয়া।। সেই প্রেম কখনওই কোনও সংকীর্ণতার গণ্ডিতে আটকে থাকতে পারে না। 

রাধিকা ওর গাড়ি সারাতে যে মেকানিক ছেলেটির মুখোমুখি হলো তাকে গ্রিক সৌন্দর্যের পুরুষশ্রেষ্ঠ, পুরুষকার অথবা পুরুষোত্তম যেটা খুশি বলাই যায়। অভিজাত পরিবারের এম বি এ পাঠরতা রাধিকা কারুণিকের ওপর থেকে চোখ সরাতে পারলো কোথায়? প্রেমের প্রথম দর্শনে কি এমনই হয়? কিন্তু এগোনোর পথও তো সহজ নয়। রাধিকা ও কারুণিকের মধ্যে বিস্তর... বিস্তর ব্যবধান।

সাহসের পাখা মেলে রাধিকা কারুণিকের সঙ্গে আলমোড়ার হোটেলে চারটে রাত কাটিয়ে আসে। ভালোবাসার এই উত্তাপ, উষ্ণতায়, রাধিকা তখন স্থির, শান্ত। গভীর প্রত্যয়ে বাড়ির সবাইকে জানিয়ে দেয় প্রকৃত প্রেমের কাজই হলো গণ্ডিকে ভেঙ্গে এগিয়ে যাওয়া। সেই প্রেম কখনওই কোনও সংকীর্ণতার গণ্ডিতে আটকে থাকতে পারে না। রাধিকার বাড়ির বড়রা কি সে কথা জানালেন। কাঠগোদাম, হলদুয়ানি, আলমোড়া শহরের মনোরম পটভূমিতে সমীরণ গুহ-র 'মেঘ ভাঙা বৃষ্টি' উপন্যাসটি পড়ে আপনার ভুবনও অন্য এক ভালোবাসায় ভরে উঠবে!!

লেখক পরিচিতি : 

জন্ম বাংলাদেশের ফরিদপুরে। তিনবছর বয়স থেকে এই বাংলায়। পড়াশোনা দক্ষিণ কলকাতার স্কুল-কলেজে। সরকারি কলেজ থেকে ওয়েল্ডিং ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষায় দ্বিতীয় হয়ে ন্যাশনাল সার্টিফিকেট পান। সেই সঙ্গে পান নামী বিদেশী কোম্পানিতে চাকরি। চাকরি সূত্রেই সারা ভারতবর্ষ ঘুরেছেন। বাবা সাহিত্যিক ছিলেন। বাড়িতে প্রতি রবিবার লেখকদের আড্ডা বসতো। আশৈশব লেখকদের কাছাকাছি দেখতে দেখতে নিজেরও লেখক হওয়ার স্বপ্ন। লেখার আঁকিবুকিও তখন থেকেই শুরু। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের সঙ্গে আন্তরিকভাবে মেলামেশা করে লেখার স্থান-কাল, বিষয়বস্তু খোঁজার চেষ্টা করেন। সেই লেখা কতটা সাহিত্য রসে উত্তীর্ণ হলো সেটা অন্য প্রশ্ন-তবে তাঁর লেখায় প্রাদেশিকতার বেড়া ভেঙে সব মানুষকে এক করে দেখার একটা প্রচেষ্টা থাকে, থাকে ভাষার আপার সারল্য সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

নতুন লেখকদের সম্মেলন, বনগ্রাম সাধুজন পাঠাগার, হাওড়া জ্ঞানশ্রী পাঠাগার, কলকাতা জীবনমিলন লাইব্রেরি, বার্ন স্ট্যান্ডার্ড, কিশোর পরিষদ, বেনিয়াটোলা আদর্শ বাণীমন্দির, যুগবাণী, জাগরী থেকে সাহিত্যের জন্য পুরস্কার পান।