মিথ্রিডেটিস
সায়ন্তনী পূততুন্ড
শিক্ষিত তরুণ ঘটনাচক্রে হয়ে উঠেছিল দাগী মস্তান। পিতৃদত্ত বিষ-প্রতিষেধক নিয়মিত খেয়ে সে পেয়ে গিয়েছিল সব বিষ জয় করার ক্ষমতা। বিষ দিয়ে তাকে গুপ্তহত্যার আশঙ্কা সে জয় করেছিল। কিন্তু সে পড়ে গেল বহুগুণ নৃশংস, বিদেশী কোম্পানির দালাল, এক দল ডাক্তার বিজ্ঞানীদের হাতে। যারা বিদেশী কোম্পানির মারণ ঔষধের ফলাফল নির্ণয় করে আমাদের দেশের গরীব মানুষদের ওপর প্রয়োগ ক'রে, গিনিপিগের মতো। খাবার লোভ দেখিয়ে, টাকার লোভ দেখিয়ে এই সব হতভাগ্য মানুষদের তারা সংগ্রহ করে রাস্তা থেকে, বস্তি থেকে। কিন্তু তাদের ভুল হয়েছিল। ফাঁসির আসামী করণকে তাদের কর্মশালায় নেওয়া। সে তার অমিত বুদ্ধি ও পেশিশক্তির সাহায্যে কয়েকজন রোগীকে নিয়ে বেরিয়ে এল, ওপরের ঝাঁ চকচকে নার্সিংহোমের নিচের গোপন তলের নরমেধ-যজ্ঞের কর্মশালা থেকে। সমস্ত গুপ্ত ঘটনা সে ফাঁস করে দিল বাইরের জগতে। এইসব চরম উত্তেজক ঘটনার সঙ্গে অন্তঃসলিলা এক রোমান্স উপন্যাসের কাহিনীকে পাঠকের কাছে তুঙ্গস্পর্শী করে তুলেছে।
লেখক পরিচিতি :
সায়ন্তনী পূততুণ্ডের জন্ম ১৯৮৫, কলকাতায়। শিক্ষা যাদবপুর বিদ্যাপীঠ স্কুল, প্রেসিডেন্সি কলেজ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর। কিছুদিন সাংবাদিকতা করার পর বর্তমান জীবিকা লেখালেখি। স্কুলে পড়ার সময়েই সাহিত্যচর্চায় হাতেখড়ি, ১৯৯৭ সালে একটি দৈনিকে ছোটগল্পের মাধ্যমে প্রথম আত্মপ্রকাশ। শিশু সাহিত্য পত্রিকা 'সাহানা'য় গোয়েন্দা গল্প ও থ্রিলার ছোটদের কাছে সমাদৃত হয়েছিল। বাংলাদেশের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয় প্রথম গ্রন্থ- ত্রিমূর্তি যখন ভয়ঙ্কর (২০১১)। বইটি পাঠকের অভিনন্দন-ধন্য। এখনও পর্যন্ত গ্লোব যুব স্বীকৃতি অ্যাওয়ার্ড, শুভম বুস্ পুরস্কার, গজেন্দ্রকুমার মিত্র ও সুমথনাথ ঘোষ স্মৃতি পুরস্কার, শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায় স্মৃতি পুরস্কার, বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ- এর ইলা চন্দ স্মৃতি পুরস্কার, এ বেলা 'অজেয়' (প্রথম) পুরস্কার পেয়েছেন। 'সাহিত্য অকাদেমি'র তরুণ সাহিত্যিকদের নিয়ে অনুষ্ঠান 'যুবা সহিতি'তে বাংলার প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তাঁর উপন্যাস 'শঙ্খচিল' থেকে গৌতম ঘোষ দ্বারা নির্মিত 'শঙ্খচিল' ছবিটি রাষ্ট্রীয় পুরস্কার পেয়েছে এছাড়া শারদীয়া আনন্দলোক পত্রিকা ২০১১-এ প্রকাশিত 'আনন্দধারা' উপন্যাসটিই পাঠকের দরবারে বৃহত্তর আত্মপ্রকাশ।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি