মৃগয়া-ঋষ্যশৃঙ্গ রহস্য
দেবশ্রী চক্রবর্তী
সময়ের রথচক্রের ঘর্ষণে রচিত এক রহস্যময় আরণ্যক চিত্রপট। যার মাঝে অতীত বর্তমান এবং ভবিষ্যতের তিনটি অদৃশ্য ধারা একে অপরের সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে সৃষ্টি করেছে এক ইন্দ্রজাল। সময়ের এই তিনটি ধারা এক বিশেষ নিয়মের শৃঙ্খলে আবদ্ধ, যার মাঝে নটরাজরূপে অধিষ্ঠিত এক আদি পুরুষ। বর্তমানে ভারতভূমির আরণ্যকরা আজও এই বিশেষ নিয়মকে আশ্রয় করে তাঁদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতিহাসের তিনটি বিশেষ সময়ের ধারা এই উপন্যাসের চালিকাশক্তি। উত্তর পশ্চিম ভারতে গ্রিস আক্রমণ, পাল শাসক মহীপালের সময়কাল এবং বর্তমান ভারতভূমির থেকে উঠে আসা কিছু ছায়া নর্তক পুরাণের ঋষি ঋষ্যশৃঙ্গকে সেই আদি পুরুষের স্থানে বসিয়ে নিজেদের বেঁচে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। ত্রেতা যুগের এই ঋষির অস্তিত্ব গ্রিস সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের পৌরাণিক কাহিনিতে পাওয়া যায়। যাকে অরণ্য এবং আরণ্যকদের রক্ষাকর্তারূপে যেমন দেখানো হয়েছে, তেমনি আরেকদিকে তিনি প্রজননের দেবতা। অরণ্য কিংবা আরণ্যকরা আক্রান্ত হলে হরিণ এবং মানব কায়া মিশ্রিত এই ঋষির ত্রাতারূপে আবির্ভাব হয়।
এই উপন্যাসে ঋষ্যশৃঙ্গ সংহিতার রহস্যময় দিকগুলিকে ইতিহাসের দুটি ভিন্ন অধ্যায় এবং বর্তমান সময়ের মাঝে সম্পৃক্ত করে এক গভীর সমস্যার সমাধানের পথ খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি