মৃত্যুর মুখ চেনা
শমিতা দাশ দাশগুপ্ত
আমেরিকায় নারীহত্যার দায়ে ধরা পড়েছে এক বাঙালি যুবক—প্রফেসর, স্থিতধী, প্রেমিক। এ বিশ্বাস করা যায় কি? তার নির্দোষিতা প্রমাণ করতে এগিয়ে এসেছে লতা, এক বাঙালি অভিবাসী নারী, সঙ্গে এক বিদেশি বন্ধু। এদিকে কিছু কাকতালীয় সংযোগের সূত্র ধরে, যুবককে দোষী সাব্যস্ত করতে বদ্ধ পরিকর শহরের সরকারি প্রসিকিউটর। তথ্য সংগ্রহের তাগিদ লতাকে নিযে গেল অচেনা জায়গায়, অপরিচিত বৃত্তে। এত কষ্টের পর লতার উদ্দেশ্য সাধন হবে কী?
আমেরিকার ইতিহাসে ৯-১১ এক ভয়াবহ দিন, যেদিন প্রায় তিন হাজার যুবশক্তি নির্মূল হয়ে গেল নিউ ইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে। নিখোঁজ আত্মীয়বন্ধুর সন্ধানের আশায় সেইদিনই শহরে গড়ে উঠল বহু ছবির গ্যালারি। হারিয়ে গেল একটি অভিবাসী কন্যা—রেজিনা ফস্টার। কোথায় গেছে সে? আর সেই অপ্রাপ্তবয়স্ক দুই বাঙালি বোন—তারাই বা কেমন করে এসে পড়ল সুদূর বন্দর-শহর ডল্যুথে? এক সুতোয় গাঁথা তিন কন্যার জীবন-রহস্যের সমাধান কেমন করে করবে দুই বাঙালি কন্যা?
গ্রামের বাড়ির মাটির দাওয়া থেকে নিউ জার্সির ছোট্ট অ্যাপার্টমেন্ট—তারই মধ্যে সংসার গাঁথতে চেয়েছিল শিবানী। কিন্তু ভাগ্য বাধ সাধল। তার জীবনের জট খুলতে এগিয়ে এলেন এক বাঙালি মনোবিদ। কিন্তু তাঁর পক্ষেও কি সম্ভব হবে রহস্যের জটিলতা পেরিয়ে শিবানীকে আলোর দেশে নিয়ে যাওয়া?
প্রায় পাঁচ দশক আমেরিকা প্রবাসী অধ্যাপক এবং নারীবাদী কর্মী শমীতা দাশ দাশগুপ্ত। সানন্দা, সুখী গৃহকোণ, বর্তমান, বাংলা ফেমিনা সহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় যাঁর লেখা আদৃত হয়ে চলেছে সুদীর্ঘ সময়কাল।তাঁরই সম্মোহনী কলমে ধরা পড়েছে এমনই রোমহর্ষক তিনটি রহস্য গল্প-- তিনটি নারীর জীবনের এক মুঠো...
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.