বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে অন্যায়গুলো কেমন করে শেকড় গজিয়েছে তা বুঝতে এক সেমিস্টারও প্রয়োজন পড়ল না ওদের। ক্যাম্পাসের ভেতরেই ছুরিবিদ্ধ হল সিভিলের আসাদ। দুষ্কৃতীকারীরা তার মোবাইল মানিব্যাগ নিয়ে চম্পট। এই ঘটনাটির জন্য সরাসরি প্রশাসনের গাফলতিকে দায়ী করে ফেসবুকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিক্রেট গ্রুপে পোস্ট লিখল আসাদের রুমমেট জাহিদ। নিরাপত্তা ব্যবস্থার এমন হেলাফেলার পেছনে স্টাফদের সন্তানদের অপরাধে জড়িয়ে থাকার ব্যাপারটা সবারই চোখে আটকাচ্ছে, রীতিমতো ওপেন সিক্রেটটাই কেউ মুখ ফুটে বলার
সাহস করত না। সাহস দেখিয়েই ফেঁসে গেল জাহিদ ছেলেটা।
‘সিনিয়র ভাই'রা ক্যাম্পাসের ভেতরে নিজেদের হলে ডেকে আনল ছেলেটাকে। তারপর ঘণ্টা কয়েক ধরে ওকে খুব ভালোমতো বুঝিয়ে দেওয়া হল, নাক টিপলে যাদের দুধ বের হয়ে যায়, তাদের মুখে বেশি কথা মানায় না। বন্ধুকে ছুরি মারা হয়েছে, তাতে কী এমন হয়েছে? গত চল্লিশ বছর ধরে এমনটাই চলে আসছে। অতীতে যখন ছুরি মারা হয়েছে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা হাসিমুখে, যাকে বলে বুক চিতিয়ে ছুরি খেয়েছে। এটা নিয়ে হই-হট্টগোলের এমন কী আছে এটাই তো স্পষ্ট না।
বই- যে হীরকখণ্ডে ঘুমিয়ে কুকুরদল (থ্রিলার)
লেখক- কিশোর পাশা ইমন