নাগাসাকি ও এক হাজার কাগজের বক
শাওন
'নাগাসাকি ও এক হাজার বছরের বক' এই উপন্যাসটি নাগাসাকি পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের পটভূমিকায় রচিত হয়েছে। যুদ্ধ শুরু হয়, একসময় তা শেষও হয়ে যায়। কিন্তু আসলে যুদ্ধ রয়ে যায়। যারা জেতে তাদের কথা ইতিহাসে থাকে, আর যারা হারে তারা হারিয়ে যায় বিস্মৃতির অতলে। তাদের ত্যাগের কথা কেউ বলে না, তাদের পরিবারের আত্মত্যাগের কথা কেউ জানতে চায় না।
এই কাহিনিতে উঠে এসেছে সেরকমই এক জাপানি সৈনিকের আত্মত্যাগের কথা। দেশকে ভালোবেসে, সম্রাটকে ভালোবেসে বছরের পর বছর সেই সৈনিক যুদ্ধ চালিয়ে গেছিল। কারণ সে ছিল জাপানের সবচেয়ে প্রাচীন যোদ্ধা বংশ সামুরাই গোষ্ঠীর উত্তরসূরি। সামুরাই যোদ্ধাদের নীতি অনুযায়ী প্রভুর প্রতি আনুগত্যবোধ, আত্মনির্ভরশীলতা, নিয়মানুবর্তিতা, নৈতিক আচরণ, ইত্যাদি ছিল তাদের প্রধান পালনীয় কর্তব্য। আর তার পরিবারও এই যুদ্ধে সামিল ছিল ‘হিবাকুশা’ হিসাবে। (বোমা বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্তদের হিবাকুশা বলা হয়।)
তবে পারমাণবিক বোমায় ক্ষতিগ্রস্ত কেউ-ই নিজেকে হিবাকুশা পরিচয়ে পরিচিত করতে চায় না। এই পরিচয় তাদের জন্য অপমানের, অসম্মানের। অথচ তাদের এই পরিচয় বহন করতে হয় সারাজীবন ধরে। আসলে যুদ্ধ রয়ে যায় যুগের পর যুগ। যুদ্ধ শেষ হয় না কখনোই। শুধুমাত্র যুদ্ধ শেষ হওয়ার ইচ্ছাটুকু সঙ্গে নিয়ে মানুষ এক হাজার কাগজের বক বানায়।
(জাপানি উপকথা অনুযায়ী কেউ যদি ইচ্ছাপূরণের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে এক হাজার কাগজের বক বানায় তবে তার ইচ্ছা পূর্ণ হয়।)
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.