নয়ন মাঝে রয়েছ যে তুমি
রামেশ্বর দত্ত
মনীষীদের জীবন সাধনা কর্ম বিশেষত জীবনী আকারে বিবৃত করে থাকেন বিশিষ্ট জনেরা। সেরকমই এক যুগাবতার, স্বামী বিবেকানন্দকে নিয়ে বহু জীবনীকার একাধিক গ্রন্থ রচনা করে গেছেন যেগুলি সম্পূর্ণরূপে আঁকড় গ্রন্থ। সেসব গ্রন্থ সহজলভ্য হলেও বহু পাঠকের কাছে তার পঠন অনেকটাই ভারী হয়ে ওঠে। এমন ক্ষেত্রে উপন্যাস লেখকরা প্রকৃত তথ্য ও তত্ত্বকে অবিকৃত রেখে মনীষীর জীবন সরণি বেয়ে নিজেদের কল্পনাকে মিশিয়ে যে উপন্যাস পাঠকের সামনে তুলে ধরেন, তাতে পাঠকের পক্ষে ওই মনীষীকে জানা কিছুটা সহজ হয়ে ওঠে এবং তা পাঠে পাঠককে আগ্রহী করে তোলে। স্বামী বিবেকানন্দকে নিয়ে এমনই এক উপন্যাস, 'নয়ন মাঝে রয়েছো যে তুমি', রচিত হয়েছে যেখানে গুরু গম্ভীর তথ্য ও তত্ত্বের ভান্ডার না যোগ করেও বিবেকানন্দের পরিচয়ের আড়ালে রক্তমাংসের মানুষ নরেন্দ্রনাথ কে পরিচয় করানো হয়েছে। এ সত্য সকলেরই জানা, বিবেকানন্দ অত্যন্ত স্বল্পায়ু ছিলেন। ৩৯ বছর কয়েক মাসের জীবনে মাত্র ছটি বছর কে এই উপন্যাসে ধরা আছে। সময় কাল ১৮৮০ থেকে ১৮৮৬ সাল অর্থাৎ ওনার ১৭/১৮ বছর বয়স থেকে, ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের তিরোধান (১৬ই অগাস্ট ১৮৮৬) এর পরে সন্ন্যাস গ্রহণ পর্যন্ত। এই সময়টুকুতে নরেন্দ্রনাথ এর যৌবনকালে যা যা কর্মকাণ্ড, সেটুকুই ধরা হয়েছে। এটি পুস্তকের প্রথম খন্ড।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি