নিজের সঙ্গে নিজে
লেখক : সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
‘কেন কবিরা এই দুঃখের জীবন বরণ করে নেয়? খ্যাতি কিংবা অমরত্বের লোভে? খ্যাতি যখন আসতে শুরু করে, তখন তার প্রতি মোহ জন্মানয় সম্ভব, খ্যাতি প্রতিযয়গিতাতেও কেউ কেউ মাতে। কিন্তু অখ্যাত অবস্থায়, প্রথম যৌবনে কোনও কবিই আত্মক্ষয় করে খ্যাতি পাবার লোভে কবিতা রচনা করে না...’-বলেছেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। কেমন ছিল তাঁর কবিতা শুরুর দিনগুলি? ‘দেশ’ পত্রিকায় প্রথম উপন্যাস প্রকাশিত হবার পর কেনই বা পালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন কলকাতা ছেড়ে! তাঁর রবীন্দ্র অনুভূতি, রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কবিতার ভূমণ্ডল, কিংবা অনূদিত কবিতার অনুষঙ্গে বিংশ শতাব্দীর কবিতা, আমেরিকার কৃষ্ণাঙ্গ কবিদের কবিতা ইত্যাদি সমস্ত বিষয়েই অকপট তিনি। তাঁর ‘সেই সময়’, ‘পূর্ব-পশ্চিম’, ‘প্রথম আলো’, রচনার প্রেক্ষাপট আর একান্ত প্রস্তুতিই শুধু নয়, ‘মনের মানুষ’ উপন্যাসে লালন-সংলাপের জন্য যে সমস্ত গানের পঙ্ক্তি ভেঙে ভেঙে ব্যবহার করেছেন তিনি, তাও সংযোজিত হল। এর সঙ্গে ‘কৃত্তিবাস’ সম্পাদনার দীর্ঘ অভিজ্ঞতার ঝলক, আর একমাত্র আত্মজীবনী ‘অর্ধেক জীবন’ -এর প্রাক্কথন, সবটুকুই, বিভিন্ন সময়ে লেখা ভূমিকা অথবা পশ্চাৎভূমিকা থেকে সংগ্রহ করে সযত্নে সাজিয়ে দিলেন খ্যাতিমান কবি ও সম্পাদক রফিক উল ইসলাম। অন্তর্গত ক্ষরণ, বহুমুখী সাহিত্যভাবনা, আর অবিরাম পাঠপ্রবাহের বর্ণময় আলো নিয়ে খুব কাছের মানুষ হয়ে এই গল্পে ধরা দিলেন বরেণ্য কবি ও কথাসাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি