নিঃসঙ্গ মহুয়া

(0 পর্যালোচনা)


দাম:
₹275.00

সংস্করণ:
পরিমাণ:

মোট দাম:
শেয়ার করুন:
প্রকাশক
দীপ প্রকাশন
১৪ বি বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রীট, কলকাতা - ৭৩
(0 ক্রেতার পর্যালোচনা)

ছবির নাম দাদার কীর্তি। একদম শেষের দিকের শট। পাত্র পক্ষ দেখতে এসেছে মহুয়াকে। ঘরে ঢুকে মহুয়া অর্থাৎ সরস্বতী হতভম্ব, এখানে কেদার কি করছে! তার মুখের ভাব লক্ষ করে কেদার ওরফে তাপস পাল বললেন, আমি আসতে চাই নি, কিন্তু ওঁনারা এমন জোর করলেন...। ছেলের বাবা সত্য বন্দ্যোপাধ্যায় কেদারকে সমর্থন করলেন। তারপর অনুরোধ করলেন একটি গানের। সরস্বতী গান গাইতে রাজি নয়। তখন কেদার সরস্বতীর বাবা কালী ব্যানার্জিকে বলল, আপনি বলুন না, ও যদি ওই যন্ত্রটা বাজিয়ে একটা গান করে। মূলত কেদারের অনুরোধে সরস্বতী বসলেন পিয়ানোতে। তিনি কি গান গিয়েছিলেন সেটা নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না!

গানের সিনটা শুরুর আগে পরিচালক তরুণ মজুমদার বললেন, গান গাইতে গাইতে তোমার চোখে জল আসবে। চোখ ভরা জল, কিন্তু গড়িয়ে পড়বে না। শুরু হল গান। শুটিং সেটে মহুয়া খালি গলায় গাইতে আরম্ভ করলেন।

চরণ ধরিতে দিয়ো গো আমারে,   

নিয়ো না, নিয়ো না সরায়ে--

জীবন মরণ সুখ দুখ দিয়ে    

বক্ষে ধরিব জড়ায়ে

ক্যামেরায় শুধুমাত্র মহুয়া। কাজেই সেটের সবাই তাকিয়ে আছেন তার দিকে। তাপস পাল অবাক হয়ে দেখলেন। মাত্র এক মিনিটের মধ্যে গ্লিসারিন ছাড়াই গানের দুটি লাইন গাইতে না গাইতে মহুয়ার চোখ ভরে উঠেছে জলে। দু-ফোঁটা জল টলটল করছে সরস্বতীর চোখের মধ্যে। এমন সময় শোনা গেল তরুণ মজুমদারের গলা, Cut। ক্যামেরা বন্ধ হতেই তরুণ বাবু এগিয়ে গেলেন মহুয়ার দিকে। ততক্ষণে সেও উঠে দাঁড়িয়েছে পিয়ানো ছেড়ে। এবার নিজের বাবার মত অধিকারে মহুয়া জড়িয়ে ধরলেন তরুণ মজুমদারকে। তারপর সবার সামনে   সশব্দে কেঁদে উঠলেন। যেভাবে মেয়েরা কাঁদে বিয়ের পরে শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার সময়ে।

মহুয়া রায় চৌধুরীকে নিয়ে বাংলায় প্রথম বই "নিঃসঙ্গ মহুয়া" দীপারুণ ভট্টাচার্যের কলমে 

 বইটির ভেতরে থাকছে আর্কাইভ থেকে সংগ্রহ করা কিছু দুষ্প্রাপ্য ছবি।

এই বইয়ের জন্য এখনও কোন পর্যালোচনা নেই

বই সংক্রান্ত জিজ্ঞাসা (0)

প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য

অন্যান্য প্রশ্নাবলী

কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি

Boier Haat™   |   © All rights reserved 2024.