দেবেন্দ্রনারায়ণ হঠাৎ টের পেলেন তাঁর পাথর কঠিন চোখজোড়াও ক্রমশই জলে ভরে উঠছে। কিন্তু হাত বাড়িয়ে রেণুকার অগোচরেই তিনি তাঁর চোখের সেই জল মুছে ফেললেন। তিনি চান না এই জগতে তাঁর চোখের জল কেউ দেখুক। তাঁর চেয়ে বেশি আর কে জানে যে কিছু কিছু মানুষ বুকের ভেতর আস্ত একটা নোনা জলের সমুদ্র লুকিয়ে রেখেও খটখটে শুকনো চোখে সারাটা জীবন কাটিয়ে দেয়। সকলেই তাদের সেই অশ্রুবিহীন কঠিন চোখজোড়াই কেবল দেখে। কিন্তু বুকের ভেতর লুকিয়ে থাকা কষ্টজলের সমুদ্রটা আর কেউ দেখে না।
আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে বিষ্ণুপুর জমিদারির অন্দরমহল শান্ত হয়েছে। কিন্তু সময় বলছে, সামনে অপেক্ষা করছে নতুন এক গল্প। বিবমিষার গভীর অন্ধকার থেকে উঁকি দেওয়া নতুন এক আখ্যান। সেই আখ্যান জুড়ে অন্দরমহল। সেই অন্দরমহল শুধু বিষ্ণুপুর জমিদারির কেন্দ্রস্থল গঙ্গামহলেরই অন্দরমহল নয়, সেই অন্দরমহল মন ও মানবের এক সুগভীর অন্দরমহল।
বই - অন্দরমহল
লেখক - সাদাত হোসাইন