বই - পাগলু চরিত
লেখা ও আঁকা: সপ্তদীপ দে সরকার
ঢলঢলে প্যান্ট আর কোমরে দড়ি বাঁধা ঝাঁকড়া চুল পাগলটাকে এর ওর গলিতে প্রায়ই দেখা যায়। সাথী তার নেড়ি কুকুর তিনকড়ি মিত্র। যদিও তারা থাকে ৪২০ বটতলার ফুটপাথে। পাড়ার লোক, ভিখারি, কুকুর, বেড়াল, গোসাপ, শুয়োর তাকে পাগলু বলেই চেনে। আদপে পাগলা মনে হলেও তার আছে একটা সুপার পাওয়ার। আর কেউ না বুঝুক সে অনায়াসে বুঝতে পারে পশুপাখির কথা। তবে হিরো মার্কা ঘটনা তার জীবনে ঘটেনি এবং ঘটবেও না। বরং তার মাথার তারে শর্ট সার্কিট হলে সে ঘটিয়ে ফেলে নানান মজার ঘটনা। কখনও মজার আবার কখনো মজার ছলে আপাত সুস্থ মানুষকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় সমাজের ভুলগুলো। সরল সাদামাটা এই পাগলটার জীবনটাকে দেখার চোখ আমাদের থেকে একটু আলাদা। তবে সিরিয়াস ভাবলে ভুল করবেন। তার সাথী তিনকড়ি কিন্তু ঠিক পাগলু বিপরীত। ধার্মিক, সংসারী অথচ ব্রহ্মচারী কুকুর সে। পাগলু তার রুমমেট হলেও সে বরদাস্ত করে না পাগলুর খ্যাপামি। কিন্তু তবুও তারা পরম বন্ধু। শীতের রাতে ফুটপাথের ওপর একখানা কম্বল জড়িয়ে চিকেন রোলের মত শুয়ে থাকে দুই মক্কেল। রাস্তা তাদের ঘর আর রাস্তাই তাদের গল্প। তাই রাস্তার কিছু চরিত্র উঠে আসে তাদের গল্পে যেমন উড়িয়া শুয়োর মহাপাত্র সোয়াইন, বহুরূপী বা অন্ধ ভিখারি কানাই কুমার।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি