পাইন পাহাড়ের রূপকথা
নন্দিতা বাগচী
এ কাহিনি গান্ধার রায় চৌধুরী এবং তাঁর পুত্র গহনের। বিপত্নীক, অবসরপ্রাপ্ত গান্ধারের বসবাস তাঁদের বাগবাজারের পৈতৃক বাড়ির দুটো ঘর নিয়ে। উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া কিছু আসবাবপত্রও আছে সেখানে। যেগুলো তাঁর নানা স্মৃতিকে উসকে দেয় মাঝে মাঝেই।
গহন থাকে ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে। একটি ভারতীয় মোটরবাইক কোম্পানির সেলস্ ম্যানেজার সে। তার বাগদত্তা চকোরী শ্রীবাস্তব থাকে দিল্লির কাছে নয়ডাতে। ভারত মহাসাগর ডিঙিয়ে চলে তাদের লং ডিসট্যান্স প্রেম। তারই মাঝে বাড়িওয়ালার বড় মেয়ে পুটুর সহযোগিতায় ইন্দোনেশিয়ার রীতিরেওয়াজের সঙ্গে পরিচিত হতে থাকে গহন। একটি পুরোনো রেড ওয়াইনের বোতলও সেখানকার ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে এ কাহিনিকে গতি দেয়।
এদিকে গান্ধার অদ্ভুতভাবে খুঁজে পান তাঁর স্কুল জীবনের সহপাঠিনী অলিভিয়াকে। কার্শিয়াঙের দুটো ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়তেন তাঁরা। অবিবাহিতা অলিভিয়া সেখানেই চা বাগানের মাঝে একটা রিসর্ট খুলে ব্যবসা করছেন এবং সমাজসেবা করছেন। ব্রিটিশ জমানায় তাঁর ঠাকুরদা অখিলেশ মিটার গিদ্দা পাহাড়ের একটা চা বাগানের ম্যানেজার ছিলেন।
ইতিমধ্যে করোনা ভাইরাস নামের এক জীবাণু এসে তোলপাড় করে দেয় সারা পৃথিবীকে। গৃহবন্দি মানুষ ভুলে যান পরিচিত নিয়মকে। কারও প্রেমময় জীবনে আসে অপ্রেম, আবার যে প্রেম আসার কথা নয়, সে এসে হাজির হয় এই নিঃসঙ্গ আকালে।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি