কালিদাস রায় (১৮৮৯-১৯৭৫)- এর তিনখণ্ডে বিভক্ত “ প্রাচীন বঙ্গসাহিত্য ” -নামক মহাগ্রন্থের অখণ্ড ভারবি সংস্করণ প্রকাশিত হল।বিস্মৃতির যবনিকা সরিয়ে দিয়ে বাংলাভাষার ধ্রুপদী গ্রন্থসমূহের পুনরুদ্ধার ও পুনঃপ্রকাশ ভারবি প্রকাশনার পূর্বারব্ধ ব্রত। ভারবি-র “ শ্রেষ্ঠ কবিতা ” -সিরিজে কালিদাস রায়ের কবিসত্তার সঙ্গে নতুন প্রজন্মের পাঠকদের নব– পরিচয় সাধনের পরিপূরক হিসেবেই এবার কালিদাস রায়ের কবিদসত্তার সঙ্গেও নতুন করে পরিচিত হওয়ার জন্য ভারবি এই উদ্যোগ।
নেহাৎ তথ্যের দিক দিয়ে যে এই প্রবন্ধের অনেকগুলিই এখন dated, সেই ব্যাপারে ভারবি সচেতন। মধ্যবর্তী সাত-আট দশকে প্রাচীন ও মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের গবেষণায় যুগান্তর ঘটেছে – কত তথ্য বাতিল হয়ে গিয়েছে, আমূল বদলে গিয়েছে দেখার কত ভঙ্গি। তবুও যে ভারবি এই মহাগ্রন্থের পুনঃপ্রকাশ করল এর কারণ হচ্ছে, প্রথমত: historiography-র দিক দিয়ে, প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস চর্চার ইতিহাস লিখনের কাজে কালিদাস রায়ের এই মহাগ্রন্থ অন্যতম প্রধান একটি আকর; দ্বিতীয়ত: তথ্যই এর একমাত্র জোরের জায়গা নয়, বরং অতিবিশিষ্ট এক রবীন্দ্রানুবর্তী কবিশিক্ষকের দৃষ্টিতে প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্য ঠিক কোন্ রঙে কোন্ রসে একদা প্রতিভাত হয়েছিল- সেই অন্তরঙ্গ সত্য এই মহাগ্রন্থের পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায় আজকের পাঠক আবিষ্কার করবেন:
ভারবি সংস্করণ
অরবিন্দ চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত।