প্রসঙ্গ রবীন্দ্রনাথ
জীবনানন্দ দাশ
অন্ধকার, নির্জনতা আর বিদেশী সাহিত্যের মেলবন্ধনে গড়ে ওঠা জীবনানন্দ দাশ।
তাঁর পরাবাস্তব বাদী ভাবনা, আর মিশ্র কলাবৃত্ত ও গদ্য কবিতার যৌথতায়, বাংলা কবিতায় রবীন্দ্র পরবর্তী এক সতন্ত্র অস্তিত্বকে কায়েম করেছিলেন।
রবীন্দ্র পরবর্তী কবিদের লিখনে, বার বার উঠে এসেছে হয় রবীন্দ্রনাথের প্রতি আত্মসমর্পণ নয়ত তাঁকে অস্বীকার করবার প্রবণতা। কিন্তু জীবনানন্দ সে পথে চলেননি।
তাঁর সমসাময়িক কবিরা যখন সতন্ত্রতার আশ্রয় খুঁজছেন তখন তিনি নিজেকে লুকিয়ে রেখেছেন অ্যানসিয়েন্ট হিস্ট্রির কোন এক গভীর স্রোত বাহী নদীতে।
রবীন্দ্রনাথ কে অস্বীকার করা নয় তাঁর কবিতায় এক সতন্ত্র অনুপ্রাস নির্জনতার। যা হয়ত গ্রহণ করতে সমসাময়িক পাঠক প্রস্তুতও ছিলনা।
ফলত বিদেশী সাহিত্য পাঠে অভ্যস্ত সমসাময়িক অন্যান্য কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত ও বিষ্ঞু দের মতো তাঁর কপালেও জুটেছে দুর্বোধ্যতার অভিযোগ। সুধীন্দ্রনাথ, বিষ্ঞু দে কবিতার চরনে তৈরী করেছিলেন শব্দের দুর্বোধ্যতা কিন্তু জীবনানন্দের ক্ষেত্রে সেই দুর্বোধ্যতা ভাবনায়।
মনে হয়না তিনি রহস্য তৈরী করতে আগ্রহী ছিলেন। বরং নিজের অবচেতনের নানা রঙে সংমিশ্রিত দুর্বোধ্য চিত্রগুলোই তার কবিতার রসদ বোধহয়।
জীবনানন্দের গদ্য যে সকল সাহিত্যপ্রেমী পড়েছেন তারা জানেন, তাঁর গদ্যও ভীষণভাবে ব্যক্তিগত।
ফলত তাঁর মনন থেকে দেখা রবীন্দ্রনাথ বাংলা সাহিত্যে বিশেষ ভাবে উল্লেখের দাবী রাখে।
এখানে পাঠকের উপরি পাওনা কেবল রবীন্দ্রনাথকে জানা নয়, জীবনানন্দের রবীন্দ্রনাথকে জানা বোঝা উপলব্ধি করা।
বিন্দুবিসর্গ পাবলিশার্সের “প্রসঙ্গ রবীন্দ্রনাথ” সিরিজে নতুন সংযোজন
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.