প্রত্নভাস্কর্যে দেবদেবী
প্রসেনজিৎ দাশগুপ্ত
দেবদেবীরা স্বর্গের বাসিন্দা হলেও অন্যান্য বিবরণের সঙ্গে তাঁদের চেহারা বর্ণনা পাওয়া যায় মর্তের মানুষের মানসে সৃষ্ট বেদ, পুরাণ, মহাকাব্য বা লোককথায়। তবে সেই রূপ একদিনে কল্পিত বা নির্ধারিত হয়নি। হিন্দু দেবালয়ের গর্ভগৃহে বা বহিরঙ্গে দেবতাদের যত মূর্তি দেখা যায়, তাদের রূপ আরোপিত হয়েছে যুগ যুগ ধরে। অনেক জাগতিক বা মহাজাগতিক ঘটনার মানবায়িত রূপকেও দেবতাদের মূর্তি বলে মনে করেন অনেক পণ্ডিত। কোনও দেবতা বা দেবীর মূর্তি একবার কল্পিত হওয়ার পর তার বহু বিবর্তন ঘটেছে যুগ বদলের সঙ্গে সঙ্গে। তাছাড়া দেবদেবীরা যেহেতু মানবসুলভ চেহারার অধিকারী, তাই এই বিশাল ভারতভূমির বিভিন্ন অঞ্চলে সেখানকার বাসিন্দাদের অবয়বের বৈচিত্র্য সাপেক্ষে নানারকম আলাদা বৈশিষ্ট্য দেখা গিয়েছে দেবতাদের মূর্তিতেও। ভারতবর্ষের প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় ভাস্কর্যে দেবদেবীর মূর্তি দেশ ও কালের বিচারে যেভাবে পরিবর্তিত এবং বিবর্তিত হয়েছে, নমুনা সহকারে তার একটি বিবরণ এবং বিশেষ ক্ষেত্রে সেই পরিবর্তন ও বিবর্তনের সম্ভাব্য কারণ অনুসন্ধান করা হয়েছে এই গ্রন্থে। বলা যায়, বেদ, পুরাণ, মহাকাব্য, লোককথার দেবদেবী আর প্রত্ন- ভাস্কর্যের দেবদেবীর সাদৃশ্য সন্ধান এই গ্রন্থের উপজীব্য।
প্রচ্ছদের ছবি: বাল্টিমোর সংগ্রহশালায় রক্ষিত সরস্বতী।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.