প্রয়াগরাজ ও মহাকুম্ভ
ড. সমুদ্র বসু
প্রচ্ছদ - রাজদীপ পুরী
সমুদ্রমন্থনের থেকে উঠে আসা অমৃত কলস নিয়ে দেব-অসুরের দ্বন্দ্ব থেকে, দেবতাদের তত্ত্বাবধানে সুরক্ষিত থাকা চার ফোঁটা অমৃত পড়েছিল ভারতের চারটি জায়গায়— হরিদ্বার, প্রয়াগরাজ, নাসিক এবং উজ্জয়িনী। রাশি এবং গ্রহের যোগে এক এক সময় এক এক শহরে হয় কুম্ভমেলা। ২০২৫ ছিল প্রয়াগরাজ কুম্ভের দখলে। ১৪৪ বছর পর এটি আবার মহাকুম্ভ। দেবভূমি ভারত হাজার হাজার বছর ধরে অসংখ্য মুনি, ঋষি, সন্ন্যাসী, মহাপুরুষের জন্মস্থান। সেই সব সাধুদের কুম্ভে পুণ্যলাভের জন্য, বিচিত্র বর্ণের উদ্দাম মিছিল।
কুম্ভ শুধু আর উৎসব নয়। প্রতিদিনের বিশ্বাস এবং ভারতবর্ষের আত্মার এক অমোঘ দর্শন। ভারতকে যদি জানতে হয় এই কুম্ভ থেকে—স্বাদ, রং, গন্ধ, অনুভূতি সকলকেই আহরণ করতে হবে। কুম্ভ ভারতের চলমান, চিরন্তন অন্তরআত্মা স্বরূপ। ভারতের শাশ্বত আধ্যাত্মিকতার কোনো সংজ্ঞায় এই মহাকুম্ভকে বাঁধা সম্ভব নয়, জীবনের মধ্যেই যার জ্যোতির্ময় মহাপ্রকাশ। স্নান, প্রার্থনা—চিরন্তন ছন্দের প্রতিধ্বনি।
বৈচিত্র্যময় এই ভারতবর্ষকে দেখার উপযুক্ত জায়গা এই মহাকুম্ভ ক্ষেত্র। ধনী-গরীব, বুড়ো-বাচ্চা, নারী-পুরুষ সমাজের তথাকথিত জাত—পাত নির্বিশেষে সবাই হেঁটে চলেছে একই পথে সারা গায়ে ধুলো মেখে। খালি পায়ে, ঠাসাঠাসি ট্রেনে, গাড়িতে জনস্রোতে জলস্রোতের মতো ভেসে ভেসে আসে। সঙ্গমে পৌঁছানোর পর আর ভেদাভেদ কোথায়? জাতি নেই, শ্রেণি নেই, বৈষম্য নেই। গঙ্গা, যমুনা, সরস্বতীর মত কাউকে এদের আলাদা করে চেনা যায় না—সবাই একপ্রবাহে একমুখী হয়ে ভক্তিসাগরে মিশে যাচ্ছে। পুণ্য, পাপ, অক্ষয়, ক্ষয় সব নিয়ে পরিপূর্ণতা আমার এই বই।
এই বইয়ে শুধু মহাকুম্ভ নয়, থাকছে প্রয়াগরাজের নানা মন্দিরের খুঁটিনাটি। থাকছে ২৪ পাতা জুড়ে রঙিন ছবি।
#মুদ্রিত_মূল্য - ৩৯০/-
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি