প্রসঙ্গ তারকেশ্বর

(0 পর্যালোচনা)


দাম:
₹460.00

পরিমাণ:

মোট দাম:
শেয়ার করুন:

প্রসঙ্গ তারকেশ্বর

মানব মণ্ডল

তারকেশ্বর ও তৎসংলগ্ন স্থানের সামাজিক, রাজনৈতিক ও আঞ্চলিক ইতিহাস।

হুগলি জেলার শৈব তীর্থ তারকেশ্বর সমগ্র বঙ্গ তথা ভারতে সুবিখ্যাত। এহেন তারকেশ্বর শুধুই ধর্মীয় দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ এমনটা নয়। এই অঞ্চলের ইতিহাসও সমগ্র বাংলার ইতিহাসের প্রেক্ষিতে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। বঙ্গে দশনামি সন্ন্যাসীদের উত্থান, মোহান্ত-এলোকেশী বিতর্ক এবং সত্যাগ্রহ আন্দোলনসহ একাধিক ঘটনায় তারকেশ্বর বারবার উঠে এসেছে সংবাদের শিরোনামে। এছাড়া তারকেশ্বর সংলগ্ন একাধিক গ্রামেও ছড়িয়ে আছে বিচিত্র ইতিহাস ও লোকসংস্কৃতির নানা উপাদান। সেইসব উপাদানের আলোকে 'প্রসঙ্গ তারকেশ্বর' শীর্ষক এই তথ্যসমৃদ্ধ গ্রন্থটিতে আলোচিত হয়েছে তারকেশ্বর অঞ্চলের ইতিহাস ও বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির নানা কথা।

নির্বাচিত অংশ :

১৮৭৩ খ্রিস্টাব্দের ২৭ শে মে, মঙ্গলবার। সেদিন  নবীন ছিল শ্বশুরবাড়িতে । সেখানে থাকাকালীনই  কোনো এক সময়ে আড়ি পেতে নিজের কানে শুনে ফেলল তার শ্বশুর নীলকমল ও পরিচারিকা তেলি বউ এর কথোপকথন।

 নবীন শুনল  নীলকমলের কণ্ঠস্বর- “আমি যা দিলাম, মোহন্তরাজ সেগুলো পেয়ে কী বলল?”  

তেলি বউ তারপর উত্তর দিল-- “ মোহন্তরাজ বললেন আমি তাকে দেখব, এবং দেখব সে কেমন করে এলোকেশীকে নিয়ে যায়। আমি রাস্তার জায়গায় জায়গায় পাহারা বসিয়ে দেব। তারা পালকি ছিনিয়ে তাকে নিয়ে আসবে।”  [ নাঃ সংলাপের তথ্যসূত্র কোনো নাটক বা প্রহসন নয়। নবীন  জেলা আদালতে নিজের জবানবন্দীতেই একথা জানিয়েছে।]  

এসব তার মানে তার শ্বশুর-শাশুড়ির সমর্থনেই  হচ্ছে? এমনকি নবীন যে কলকাতা পালাবার মতলব আঁটছে সে কথা নীলকমলই জানিয়ে দিয়েছেন মোহান্তকে? নবীন তীব্র ভর্ৎসনা করল তার শ্বশুর  নীলকমলকে। সাময়িকভাবে বাদানুবাদের অবসান হল বটে, কিন্তু নবীনের অন্তরে তখন ঠিক কীরকম আলোড়ন চলছিল তা বোধ করি আমাদের বুঝতে আসুবিধা হবার কথা নয়।  ঘটনাচক্রে সেদিনই  সন্ধ্যায় নীলকমল সস্ত্রীক গেলেন  মোহান্তর প্রাসাদে নেমন্তন্ন খেতে। নবীন যে সস্ত্রীক কলকাতা যাবার পরিকল্পনা এখনো বাতিল করেনি তা মোহান্তকে পুনরায় জানানোই ছিল সম্ভবত তাঁর আসল উদ্দেশ্য। আর এলোকেশীর বোন মুক্তকেশী তখন ছিল দিদিমা আনন্দময়ীর বাড়িতে।  বাড়িতে তখন লোক বলতে এলোকেশী এবং ক্রোধোন্মত্ত  নবীন। এই দিন সন্ধ্যায় এলোকেশী ও নবীনের মধ্যে ঠিক কী কথোপকথন হয়েছিল তা আমরা জানি না, জানা সম্ভবও নয়।  নবীন নাকি পুনরায় এলোকেশীকে নিয়ে কলকাতা যাবার পরিকল্পনা করছিল।  কিন্তু না,এলোকেশীর আর কলকাতা যাওয়া হয়নি। ২৭ শে মে অর্থাৎ সেইদিনই সন্ধ্যায় এলোকেশীকে হত্যা করা হয় !      মুক্তকেশী তখন দিদিমার বাড়ি থেকে ফিরছিল। সে বাড়ির কাছে আসতেই দেখল নবীন ছুটছে আর চিৎকার করে বলছে-“দিদিমা গো, তোমার এলোকেশীকে কেটে এলাম।” বাড়িতে এসেই ঘরে ঢুকে মুক্তকেশী দেখল তার দিদির মৃতদেহ। দেখল যে  এলোকেশীর গলায় একটা আঁশবঁটি তখনও আটকে আছে। আর রক্তে ভেসে যাচ্ছে এলোকেশীর দেহ...।

এই বইয়ের জন্য এখনও কোন পর্যালোচনা নেই

বই সংক্রান্ত জিজ্ঞাসা (0)

প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য

অন্যান্য প্রশ্নাবলী

কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি

Boier Haat   |   © All rights reserved 2023.