পূর্ববঙ্গের হিন্দু স্মৃতি, ১ম খণ্ড।
নেকটার কর্তৃক প্রকাশিত।
গ্রন্থনা, সঙ্কলন, সম্পাদনা : অশোক সেনগুপ্ত।
আশীর্বাদিকা লিখে দিয়েছেন অধ্যাপক ডঃ পবিত্র সরকার।
পেপারব্যাক, পৃষ্ঠাসংখ্যা ২৯৬,
“১৯১৪-১৫ সনের কথা। আমি কলিকাতায় কলেজে পড়ি। আমাদের পরিবার কিশোরগঞ্জে থাকে। ছুটিতে গেলে মা আমার পরেরই যে ভাই তাহার সম্বন্ধে নালিশ করিতেন। আসলে সে তখন বিপ্লবী দলে জুটিয়া গিয়াছিল, তাহার বিপ্লবী সহকর্মীরা বাড়ীর বাহির হইতে চাপা গলায় ডাকিলেই সে কয়েক ঘন্টার জন্য উধাও হইয়া যাইত।” (‘আত্মঘাতী বাঙালি’, পৃ ১১৮)।
বেশি বয়সে স্মৃতিচারণে এ কথা লিখেছিলেন নীরদ সি চৌধুরী। পূর্ববঙ্গের স্মৃতি আজীবন বহন করেছেন ভিটে ছেড়ে আসা প্রায় প্রত্যেকেই। ওঁদের অনেকে পূর্ববঙ্গ ত্যাগ করেছিলেন উচ্চশিক্ষা বা অপেক্ষাকৃত উঁচু মানের জীবনের আশায়। আবার অজস্র হিন্দু সপরিবারে চোখের জল ফেলতে ফেলতে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন।
------------------
“দুর্গাপূজার পর কালীপূজায় আতসবাজি, তুবড়ি, পটকা ফাটানো হইত। পটকা অপেক্ষা আতসবাজির চল বেশি ছিল। অনেকেই ভাল আতসবাজি ঢাকা বা কলিকাতা হইতে আগে আগে আনাইতেন। তবে কালীপূজা আমরা বড় একটা দেখি নাই।”
(—শ্রী নীরদচন্দ্র চৌধুরী, ‘আজি হ’তে শতবর্ষ আগে’, ১ম সংস্করণ, পৃ ১০)।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি