প্যারানর্মাল

(0 পর্যালোচনা)

লিখেছেন:
অয়ন রাহা
প্রকাশক:
বুক ফার্ম

দাম:
₹380.00

পরিমাণ:

মোট দাম:
শেয়ার করুন:
প্রকাশক
বুক ফার্ম
কলেজ স্ট্রীট
(0 ক্রেতার পর্যালোচনা)

বই - প্যারানর্মাল

লেখক - অয়ন রাহা 

প্ৰচ্ছদ:  সপ্তদীপ দে সরকার 

অলংকরণ: শুভম ভট্টাচার্য 

গ্রাফিক্স ও ক্যালিগ্রাফি :  অয়ন রাহা 

হার্ড কভার, ভালো কাগজ, ঝকঝকে ছাপা ও আকর্ষণীয় প্রচ্ছদ সমৃদ্ধ।

পঞ্চ ইন্দ্রিয়র ওপারেও বিদ্যমান এক অতীন্দ্রিয় জগৎ। তা স্বাভাবিকের অতীত, আমাদের জানা বিজ্ঞান বা প্রকৃতির মধ্যে থেকে তার ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। কখনো কখনো সেই অতিপ্রাকৃত ছায়াময় জগতের (অ)জীবেরা অধিক্রম করে চলে আসে বাস্তব দুনিয়ায়। গা—শিরশিরে ভয়ের অনুভূতিগুলো মাকড়সার জালের মতোই আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ফেলে মানবমনের অনুভূতিকে। আর ঠিক এখান থেকেই শুরু হয় একের পর এক হাড়—হিমকরা ঘটনাপ্রবাহ, যাকে এককথায় বলা চলে ‘প্যারানর্মাল’!

‘প্যারানর্মাল’ হরর সংকলনে রয়েছে নানা স্বাদের উপন্যাসিকা আর গল্প। যেগুলো সুপারন্যাচারাল, অপার্থিব, অতিপ্রাকৃত, অতীন্দ্রিয়, আধিভৌতিক এরকমই বিভিন্ন প্যারানর্মাল জঁর—এর সঙ্গে সম্পৃক্ত। কাহিনিগুলোতে এসেছে জাপানি ফোকলোরের অপজীব, সাইফাই হরর, ক্রিপি আর্টিফ্যাক্ট, হাইব্রিড প্রাণী, ভ্যাম্পায়ার ইত্যাদি হরেক কিসিমের হরর উপাদান।

এই সংকলনের অন্যতম বিশেষ আকর্ষণ ‘হরর বুলেটিন’। বিশ্বের নানা প্রান্তে ঘটে যাওয়া শিহরন জাগানো কিছু কুখ্যাত রিয়েল লাইফ ঘটনা, তার ব্যাকস্টেজ কাহিনি, ইনভেস্টিগেশন, আর্বান লিজেন্ড ইত্যাদি নিয়ে সাজানো এই ‘হরর বুলেটিন’’ বিভাগটি যেন বাংলার হরর সাহিত্যের একটু ভিন্ন স্বাদের ছেঁায়া।

স্বাদগদ্যে বুনট আতঙ্ক, টান টান থ্রিলার—সাসপেন্স, দমবন্ধ করা পৈশাচিক ঘটনাপ্রবাহের মাঝেমধ্যে আসা হালকা কমেডি রিলিফ এই নিয়েই কাহিনির বুনন। সঙ্গে রয়েছে চোখজোড়ানো ইলাস্ট্রেশন, মনকাড়া হেডপিস আর গ্রাফিক্স।

কাহিনীর কিছু অংশ

---------------------

লম্বা বারান্দার একদম শেষ প্রান্তের ঘরটায় শুধু তালা মারা। বেশ অবাক লাগল নাগেশের। এই ঘরটা তালা বন্ধ করে রাখার কারণ কি? দরজাটা একটা ঠেলাঠিলি করতেই নজরে পড়ল দরজায় একটা গোল ছিদ্র। সম্ভবত কোন কারণে এখান থেকে একটা স্ক্রু খুলে গেছে। কৌতুহলবশত সেখানে চোখ রাখতেই ভেতরটা দৃশ্যমাণ হল। ভেতরটা প্রায়ান্ধকর। বলার মত তেমন কিছু নেই। খাট আছে। আয়না আছে। কিছু আসবাব। তবে একটা জিনিষে চোখ আটকে গেল। একটা প্রমাণ সাইজের অয়েল পেন্টিং। 

পেন্টিংটা কোন সুন্দরী ভারতীয় নারীর। আঁকার ধরনটা ইউরোপীয় শৈলীর। বছর পচিশের মেয়েটি অনিন্দসুন্দরী। যেন স্বর্গ থেকে নেমে আসা অপ্সরা। আবছা অন্ধকারে মোহময়ী লাগছিল মেয়েটির চোখ। আঁকা নয় তো জীবন্ত। যেন অপলক ওর দিকে তাকিয়ে আছে। নাগেশ দরজার ফুটোয় চোখ লাগিয়ে সন্মোহিতের মত দেখছিল পেন্টিংটা। মেয়েটার চোখ দুটো অপূর্ব সুন্দর। যেন মনে হয় অপলক তাকিয়ে থাকি। মুগ্ধ হয়ে দেখছিল নাগেশ। মেয়েটার নাকে একটা সোনার নাকছাবি। নাক থেকে ঠোটের দিকে নামল দৃষ্টি। হঠাৎ মনে হল মেয়েটির ঠোঁটের কোনা দিয়ে চুঁইয়ে পড়ল একটুকরো হাসি। ক্যানভাসে আঁকা মেয়েটা হাসছে। নাগেশের গায়ের উপর দিয়ে যেন একটা শীতলদেহী সাপ হেটে চলে গেল। 

~~~~

সাধু জলদগম্ভীর স্বরে শরীর কাঁপিয়ে বলে উঠলেন, 'ইনি আসলে এক অভিশপ্তা অপ্সরা। আদতে তিনি ছিলেন একজন কিন্নরী যিনি মানবীরূপ ধারণ করতে পারতেন। যেমন তার রূপ তেমনই অপূর্ব গানের গলা। তার রুপ ওর স্বরে যে কোন কাউকে বিবশ করে দিতে পারত সে। কিন্তু কনখজুরা ছিলেন অতিমাত্রায় অহংকারী। একবার এক দেবতার নির্দেশে এক সাধুর ধ্যান ভাঙ্গাতে মর্তে আসে কনখজুরা। কাজ শেষ করে ফেরার পথে দু-দু'জন সুপুরুষে আসক্ত হয়ে পড়েন। স্বর্গের দেবতাদের বিশেষ নিষেধাজ্ঞা ছিল ওর ওপর, যাতে মর্তে কোন পুরুষসঙ্গ না করে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দেবী সেই দুই মানুষের সঙ্গে মিলিত হতে থাকেন। ঘটনাচক্রে সেই লোকদুটো বীভৎসভাবে হত্যা করে রক্তপান করেন। এই ঘটনা জানতেই দেবতারা অতিশয় ক্রুদ্ধ হন। তাঁদের অভিশাপে ভূগর্ভস্থ কীটে রূপান্তরিতা হন তিনি। কনখজুরা এককালে এখানে দেবীরূপে পূজিতা হতেন। ব্রিটিশ আমলে একবার প্রবল ভূমিকম্পে এই মন্দির ভেঙ্গে পড়লে পূজা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে মাঝে মাঝে দেবীর তৃষ্ণা জাগ্রত হলে হঠাৎ করেই এই মূর্তির আবির্ভাব ঘটে। তিনি কী করে আসেন, কোথায় যান কেউ জানে না। তুই খোঁজ নিয়ে দেখ, শতবর্ষ আগেও এখানে এইভাবে অপ্সরার আবির্ভাব হয়েছিল। উনি যখন আসেন নররক্ত না নিয়ে ফেরেন না।' 

~~~~~

প্রথমে কয়েকটা প্রদীপ জ্বালাল সাধু। পুজোর উপাচার সাজাতে লাগল ভুমিকা। ততক্ষণে বেশ শুকনো কাঠ জ্বালিয়ে হোমে বসেছে সাধু। হোমের আগুনের উল্টোদিকে ভূমিকা। পরনে জড়ানো একটা ক্ষুদ্র লাল বস্ত্র। শরীরে বেশিরভাগটাই অনাবৃত। অপরূপা সুন্দরী লাগছে তাকে। যেন কোন স্বর্গের অপ্সরা। চোখ বুজে ধ্যানে ডুবে ভূমিকা। খানিকক্ষণ বাদে সাধুর নির্দেশে হাত পা বাঁকিয়ে, সমস্ত শরীরটাকে বেকেচুরে এক অদ্ভুত আসনে বসল ভূমিকা। যোগাসনে অতীব দক্ষ না হলে কোন মানুষের পক্ষে এই আসন ধারণ করা সম্ভব নয়।  

এই বইয়ের জন্য এখনও কোন পর্যালোচনা নেই

বই সংক্রান্ত জিজ্ঞাসা (0)

প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য

অন্যান্য প্রশ্নাবলী

কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি

Boier Haat™   |   © All rights reserved 2024.