রাক্ষসসত্র
সোমশুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
সমস্ত পন্থা-আদর্শ-নীতি হৃদয়ের বন্ধ ঘরে অবরুদ্ধ করে শাসক প্রতিপত্তিশালী-স্বেচ্ছাচারী হয়ে যখন সকল সীমা উল্লঙ্ঘন করছে তখনও সেই একজোড়া ভীত চোখ ভ্রাম্যমাণ। দেশের অর্থ-সম্পদ তছরূপের কান্ডারিদের ধাওয়া করে এসেছে সে এতকাল। শিক্ষকের বেত শিক্ষকের পিঠেই পড়তে দেখে ডাক্তারের স্টেথোস্কোপে আশ্রয় নিয়ে পালিয়ে বেঁচেছে। ডাক্তারকে নির্যাতিতা হতে দেখে লুকিয়েছে আইনজীবীর কালো কোর্টের পকেটে। একান্নবর্তী সংসার ভেঙে ফেলে একতার কথা বলা প্রার্থনার জোড়-হাত স্বেচ্ছায় মহামানবের পায়ে পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে তোতা পাখির মত মন্ত্র পড়ে শিক্ষাক্ষেত্রে রাজনীতি আর রাজনীতিতে অশিক্ষার ভাণ্ড গড়েছে, তাও দেখেছে সে। তারপর, নবজাতক শিশুকন্যার চোখে আশ্রয় নিয়ে তাঁর পুনর্জন্ম। যদিও, রাত্রে পৌরসভার মিটমিটে আলোয় কাদা রাস্তার ঝোপে অবাধে চলা মদ ও জুয়ার আসর পেরিয়ে একা নিজের বাড়ি ফিরতে গিয়ে সে মেয়েও আজ ভয় পেয়েছে। চিৎকার করেছে। তবে কালের নিয়ম পাল্টে দিয়ে। সেই শব্দ, সেই ভীত চোখ, সেই চিৎকার আজ অলাতচক্র। সেই হুতাশন কালি ধার করে লিপিবদ্ধ হয়েছে এই বইয়ে। অক্ষর টেনে বলেছে, 'ক্ষমা করো-
ভয়েই আছি থাকব অবিরত,
তবে-
আমার মুঠোয় আঙুল উঠবে যেদিন?
সেদিন বুঝবে, আমার সাহস কত!'..
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি