রক্ত তৃষ্ণা
মনীষ মুখোপাধ্যায়
কল্যাণীয়াসু উত্তমা,
আজ একাদশ দিবস অতিক্রান্ত। মনের ওপর জোর খাটাইতে পারিতেছি না। তোমাকে একটিবার দেখার অভিপ্রায় হইতেছে। গত কয়েক দিবস ধরিয়া কয়েকটি পুস্তক লইয়া মজিয়া আছি। পুস্তক গুলি হিন্দুদের তন্ত্র সাধনার উপর আধারিত। যিনি আমাকে পুস্তকগুলি দিয়াছেন তিনি তন্ত্র বিষয়ে বিশেষ পন্ডিত ব্যক্তি। তাহার নিকট তন্ত্র সম্পর্কিত নানা বিষয় জানিয়া বড় প্রফুল্ল অনুভব করি। একটি ছোট্ট শিশু নিয়া তিনি বসবাস করেন সিদ্ধেশ্বরীর নিকটে। মূলত ডাকিনী, যোগিনী, পিশাচ সিদ্ধি এবং অন্ধকারের দেব দেবী লইয়া তাহার জ্ঞান ঈর্ষণীয়।
শনিবার ঠিক সন্ধ্যা সাড়ে ছয় ঘটিকায় একটিবার আমার গৃহে আসিলে তোমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করাইয়া দিতে পারিব। আর হ্যাঁ, সাদেক, বাবলু, অমিয় ইত্যাদি ছেলেরা সকলেই মুক্তি বাহিনীতে নাম লিখাইয়াছে। উহাদের লইয়া আমি বিশেষ চিন্তিত।
আজ এই অবধিই থাক।
ইতি
অলকেন্দু দাস
কেন এই চিঠি? কেন ই বা প্রয়োজন পড়ল তন্ত্রে পন্ডিত এমন ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করার এবং ধীরে ধীরে প্রভাবিত হয়ে পড়ার? উত্তমা অলকেন্দুর কি পরিণতি? জানতে হলে পড়তেই হবে বইটি।
৭১ এর অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশের ঢাকা শহর। সেখান থেকে একটি পরিবার পালিয়ে আসতে চাইছে ভারতে। কিছু মানুষের চক্রান্তে তাদের জীবনে নেমে আসে মৃত্যুর করাল ছায়া! তারই প্রতিশোধ নিতে পরিবারের প্রধান শরণাপন্ন হন একজন অন্ধকারের উপাসকের কাছে।তাঁর কাছে আছে একটি শিশু যে শিশুর জন্মই হয়েছে রক্তের তৃষ্ণা নিয়ে!
এরপর কী হয়? জানতে হলে পড়তেই হবে মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে লেখা মনীষ মুখোপাধ্যায় এর অতি লৌকিক থ্রিলার রক্ত তৃষ্ণা!
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.