রামরাজ্যে সাম্প্রদায়িকতা
গৌতম রায়
আমরা অনেক সময়েই বুঝে পাই না,অতি সাধারণ সামাজিক ঘটনাবলীর ভিতর দিয়েও কি ভাবে হৃদয়রাজ্যে পাঁচিল তোলা হচ্ছে।যে ' রাম রাম' শব্দটি জাতিধর্মবর্ণ নির্বিশেষে এককালে উত্তরভারতের মানুষদের সম্ভাষণের প্রাথমিক লব্জ ছিল, সেটাকেই ' জয় শ্রীরামে' রূপ দিয়ে ,সামাজিক প্রযুক্তির ভিতর দিয়ে সাম্প্রদায়িক লব্জে পরিণত করে দেওয়া হলো।হারিয়ে গেলো এস ওয়াজেদ আলীর ' ভারতবর্ষ' ।রামকাহিনীর নায়কের কল্কি অবতার হিসেবে দলের একক ক্ষমতায় দিল্লি দখলকারী নরেন্দ্র মোদি সংখ্যাগুরুর সাম্প্রদায়িকতাকে পরিণত করলেন সংখ্যাগুরুর আধিপত্যবাদে কোর্টের নির্দেশকে সম্বল করে ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদের জমি তে দখলদারি চালিয়ে।ভারতের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার বনিয়াদ তৈরিতে সহনাগরিক মুসলমানদের যে ঐতিহাসিক অবদান, তাকে অস্বীকার করে,মুসলমানদের নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে আর এস এসের রাজনৈতিক সংগঠন বিজেপি পরিচালিত সরকার তৈরি করলো এন আর সি, সি এ এ।
চিরন্তন ভারতকে কিভাবে রাজনৈতিক হিন্দু সাম্প্রদায়িকরা শেকড় থেকে উপরে ফেলার চেষ্টা করছে- ,সেই চেষ্টায় নানা ছদ্মবেশ পড়ে কারা সাহায্য করছেন- সেইসবের সুলুক সন্ধানের চেষ্টাই এই বইয়ের উদ্দেশ্য।ধর্মনিরপেক্ষতার প্রশ্নে কোনো কোনো ক্ষেত্রে এখানে বাম রাজনীতিকেও রেহাই দেন নি লেখক। বহুত্ববাদকে রক্ষা না করলে ভারত টিকবে না আর এই বহুত্ববাদকে রক্ষা করবার অন্যতম প্রধান শর্ত সংখ্যালঘুর স্বাধিকার প্রতিষ্ঠা- সেই কন্ঠকে তীব্র করবার চেষ্টাই এখানে লেখক করেছেন।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি