শূদ্রের পূজা ও বেদাধিকার
শ্রী দিগিন্দ্র নারায়ণ ভট্টাচার্য
প্রচ্ছদ : শুভেন্দু সরকার
শতাধিক বৎসর পূর্বে ‘শূদ্রের পূজা ও বেদাধিকার’ গ্রন্থটি পাঠ করে নিম্নবর্ণের বহুব্যক্তি নিজেরা পূজা অর্চনা ও বেদপাঠ আরম্ভ করে দিয়েছিলেন এবং স্বজাতির বাড়িতে পৌরোহিত্য পর্যন্ত করেছিলেন৷ এই গ্রন্থ রচনার জন্যে লেখক দিগিন্দ্রনারায়ণ ভট্টাচার্য মহাশয়কে তাঁর স্বজাতীয় ব্রাহ্মণগণের কাছ থেকে বহু নিপীড়ন ও গালিগালাজ ভর্ৎসনা সহ্য করতে হয়েছিল৷
গোঁড়া ব্রাহ্মণগণ স্বার্থে ঘা লাগতে--- তাঁকে নাস্তিক, কালাপাহাড়, পাষণ্ড বললেও মনে মনে অনেকেই তাঁর লেখনীকে ভয় করতেন, শ্রদ্ধাও করতেন৷ কালনার পণ্ডিত হেরম্বনাথ কাব্য-ব্যাকরণ-পুরাণ-সাংখ্যতীর্থ মহাশয় সে সময় লিখেছিলেন--- ‘...আমি বিরলে বসিয়া বর্তমান সমাজ অবস্থার জন্য যাহা ভাবিতাম, আপনার জাতিভেদে ঠিক তাহাই লিপিবদ্ধ ও তাহার কর্তব্য প্রকাশ হইয়াছে, ...আমাদের সমাজ লইয়া বড়ই বাধাবাধি, তাই কোনো কথা বলিবার উপায় নাই, ইচ্ছার বিরুদ্ধেও কার্য করিতে হয়৷ জানি না আর কতদিন এই ভাবে যাইবে৷ ‘আপনি লিখিয়াছেন তিরস্কার যোগ্য হইলেও তাহাই করিবেন--- আপনার গুণে মুগ্ধ হইয়া পূজা করিতে ইচ্ছা করে৷’
শত তিরস্কার-নিপীড়নেও দৃঢ়চেতা দিগিন্দ্রনারায়ণ ভট্টাচার্য সমাজ সংস্কারের সপক্ষে যে সব লেখা লিখেছেন এবং তাতে চাবুক মারার হাল ছাড়েন৷ এরকমই একটা সটান চাবুক ‘শূদ্রের পূজা ও বেদাধিকার’৷ হিন্দুধর্ম শাস্ত্র ঘেঁটে তিনি দেখিয়েছেন শূদ্রের পূজার এবং শূদ্র ও নারীর বেদ পাঠের অধিকার শাস্ত্রেই আছে।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.