উনিশ শতকের বিদ্বৎসমাজ এবং অসমের চা-শ্রমিক
প্রসেনজিৎ চৌধুরী
অনুবাদ : বাসুদেব দাস
বিগত শতকের কয়েকটি ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ দিকের আলোচনা করা হয়েছে আলোচ্য গ্রন্থে। এই দিকগুলি হল -বিদ্বৎ সমাজের চেতনা এবং চরিত্রের ক্রমবিকাশ সম্পর্কে নির্মোহ পর্যালোচনা।স্বাভাবিক ভাবেই এই পর্যালোচনায় অসমিয়া বিদ্বৎ সমাজের সঙ্গে বঙ্গীয় বিদ্বৎ সমাজের কথাও এসে পড়েছে।কেননা,উনিশ শতকের অসমিয়া বিদ্বৎ সমাজের চিন্তা-চেতনার ক্রমবিকাশের সঙ্গে বঙ্গীয় শিক্ষিত সমাজের আন্দোলন-আলোড়নের সম্পর্ক ছিল গভীর এবং গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া ,বঙ্গীয় বিদ্বৎ সমাজের প্রতিক্রিয়ার কথা বাদ দিয়ে অসমের চা শ্রমিকদের দুরবস্থা শিক্ষিত-মানসে সৃষ্টি করা প্রতিক্রিয়ার কথা আলোচনা করা সম্ভব নয়।
নীলকরদের অত্যাচার এবং কৃ্ষক জনসাধারণের বিক্ষোভ-বিদ্রোহ একদল বাঙালি শিক্ষিতের মনে খুব প্রভাব ফেলেছিল।অসমের চা-শ্রমিকের দুঃখ-যন্ত্রণার প্রতি শিক্ষিত বাঙালির যে সহানুভূতি তার প্রেরণার একটি উৎস নিশ্চয় নীল-বিদ্রোহের অভিজ্ঞতাপ্রসূত চৈতন্যোদয়।সেইজন্যই সম্ভবত ভৌগোলিক দূরত্ব থাকা সত্ত্বেও কিছু বাঙালি লেখক-সাংবাদিক-সংস্কারক অসমের চা-শ্রমিকের দুরবস্থার কথা সহজেই অনুভব করতে পেরেছিল।উনিশ শতকের সামাজিক ও অর্থনৈ্তিক ইতিহাসের পাশাপাশি উনিশ শতকের বিদ্বৎ সমাজ ও অসমের চা-শ্রমিকদের কথা জানার জন্য এই গ্রন্থটি অপরিহার্য্য।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.