রাত্রি এবং..

(0 পর্যালোচনা)
লিখেছেন/সম্পাদনা করেছেন
মণীষা মুখোপাধ্যায়
প্রকাশক দীপ প্রকাশন

মূল্য
₹275.00
পরিমাণ
মোট দাম
₹350.00
শেয়ার করুন

রাত্রি এবং..

ছাদ, পোলট্রি ফার্ম, আয়না, কালো চাঁদের আলো, ওপারের ডাক, কানে কানে বলে, কামিনী, পাঁক, সে আসবে।

মনীষ মুখোপাধ্যায়ের কলমে নটি ছোট বড় গল্পের সংকলন যেখানে ভয়, ঘেন্না, আতঙ্ক, প্রতিশোধের নানা রং মিশে আছে। ভয়াল রস, অতিপ্রাকৃত দেব দেবী ছাড়াও এই বইয়ের মূল আকর্ষণ অন্ধকারের গল্প।

--------------------

সুধাকর বৈরাগী কথা শুরু করলেন, "তা হ্যাঁ প্রফেসর দত্ত কী যেন বললেন? আপনি ১১ই অক্টোবর রাত দশটায়, আপনার মেয়েকে নিয়ে ঠাকুর বিসর্জন দেখে বাড়ি ফিরছিলেন তাই তো?

 হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়েন হেমকান্ত দত্ত।

"বেশ বেশ। তারপর এই তিনটি ছেলে - বিজন, অলোক আর বিশু আপনার মেয়ের ওপর চড়াও হয়ে, আপনার সামনেই ওকে তুলে নিয়ে যায় এবং অতি আশ্চর্য ভাবে আপনার সামনেই ওকে ধর্ষণ করে, এবং শারীরিক অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আপনার মেয়ে মারা যায়? যা যা বললাম তাই তো?

"হ্যাঁ তাই", বলে ওঠেন প্রফেসর দত্ত।

"বাহ ঠিক আছে"। সুধাকর বৈরাগী এবার বিচারপতির দিকে ঘোরেন। তারপর বলতে থাকেন, "মহামান্য বিচারপতি মহাশয়ের কাছে আমি কিছু নথি জমা দিয়েছি। তা আমি একটু ওনাকে দেখতে অনুরোধ করব।"

বিচারপতি মহাশয় অল্প সময়ে কাগজপত্র নাড়াঘাঁটা করেন। তারপর সরু চোখে তাকান সুধাকরের দিকে। সুধাকর বৈরাগী আবার শুরু করেন, "ধর্মাবতার, আপনি নিশ্চয়ই দেখতে পাচ্ছেন, আমার দেওয়া তিনটে এক্সিবিট। প্রথমত প্রফেসর দত্ত যিনি দাবী করেছেন, উনি নিজের চোখে মেয়েকে ধর্ষিত হতে দেখেছেন, এটা একটু অসম্ভব নয় কি? যেখানে প্রফেসর দত্তের চোখের ডাক্তারের বয়ান অনুযায়ী, দত্ত বাবুর একটি চোখের পাওয়ার মাইনাস ছয়, আরেকটি চোখে ছানি পড়েছে যার জন্য ডাক্তার বাবু পুজোর পরেই অপারেশন করতে চেয়েছিলেন।

দ্বিতীয়ত, যে জায়গায় ধর্ষণ হয়েছে, কলকাতা ইলেক্ট্রিসিটি বোর্ডের বয়ান অনুসারে সেই জায়গায় আলোর পোস্ট মাত্র একটি, সেই আলোয় একজন ক্ষীণ দৃষ্টিসম্পন্ন মানুষের দেখা প্রায় অসম্ভব। আর তৃতীয়ত, ধর্ষণের ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি, ধর্ষিতা নিজেকে ডিফেন্ড করার জন্য ধর্ষককে আঘাত করে, এই তিনজনের মেডিক্যাল রিপোর্ট বলছে গত একমাসে এদের কারোর দেহে আঘাতের কোন চিন্হ নেই। আর সর্বশেষ ব্যাপার, ময়না তদন্তের রিপোর্ট। যেখানে লেখা আছে, যৌন সংসর্গ ঘটেছে এবং ব্যাপক রক্তপাত হওয়ার কারণেই মৃত্যু। তাই আমার নিশ্চিত ধারণা, এই কেস কোনোভাবেই ধর্ষণের কেস নয়। কোন প্রেমিকের সঙ্গে অভিসার পর্ব শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন মিস তমালিকা দত্ত, পথে তাঁর বাবার সাথে দেখা হয় এবং আচমকা রক্তপাত শুরু হয় ব্যাপক ভাবে যে কারণে বাড়ি ফেরার সুযোগ তিনি পাননি। পথেই তাঁর আকস্মিক মৃত্যু ঘটে।

--------------

পর্যালোচনা ও রেটিং

0 মোট 5.0 -এ
(0 পর্যালোচনা)
এই বইয়ের জন্য এখনও কোন পর্যালোচনা নেই

সংশ্লিষ্ট বই

বই সংক্রান্ত জিজ্ঞাসা (0)

প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য

অন্যান্য প্রশ্নাবলী

কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি