রবে নীরবে
প্রতীক দে সরকার
ঘরটা এই দুপুরবেলাতেও কেমন যেন আলো-আঁধারির মায়াবী আবরণে ঘেরা। প্রয়াস এগিয়ে গেল। সই পেছনে। হঠাৎ সইয়ের পায়ে কিছু বোধহয় জড়ায়। টাল সামলাতে পারলো না। এদিকে পরে যাচ্ছে জেনেও সামনে কিছুকে ধরার সম্বলও পেল না। দেওয়াল বা ক্লাসরুমের সেই পুরনো বেঞ্চগুলো অনেক দূরে। ভয়, ব্যথা পাওয়ার প্রত্যাশায় চোখ কুঁকড়ে গেছে। তারপর হঠাৎ করেই সই শূন্যে ভেসে থাকলো। অনন্তকাল। অনুভব করলো প্রয়াসের পেশিবহুল হাত ওকে জাপটে ধরে রেখেছে। সইয়ের হাত তখন ওর কাঁধে। চোখ বন্ধ। একে অপরের উষ্ণ নিশ্বাস মুখে পড়ছে, হৃদয় তখন সোহাগের তাণ্ডব চালাচ্ছে। সরস্বতী পুজোর সেই নিবিড় ঘনিষ্ঠ মুহূর্তটা হঠাৎ করেই যেন আবার বছর কুড়ি পরে এসে হাজির।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি