সন্ধ্যাকাশে ঝড়ের পাখি

(0 পর্যালোচনা)
লিখেছেন/সম্পাদনা করেছেন
অমিতাভ রায়

মূল্য
₹300.00
পরিমাণ
মোট দাম
শেয়ার করুন

সন্ধ্যাকাশে ঝড়ের পাখি 

অমিতাভ রায় 

প্রচ্ছদ - সন্তু কর্মকার 

ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় বললে কেউ চিনতেই পারবে না। কিন্তু, ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায়- এই নামটা উচ্চারণ করলেই শ্রদ্ধায় নত হয়ে পড়বে সব বাঙালির মাথা! নিজের নাম পরিবর্তন করে ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায় করেছিল এই মানুষটাই। ভবানীচরণের মা ওর জন্মের  একবছরের মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। তখন খুবই অসুস্থ ছিল ও। ওকে মানুষ করেছিল পিতামহী। পিতামহীর প্রভাব পড়েছিল ভবানীচরণের ওপরে। ওর জীবনের মোড় ঘুড়িয়ে দিল একটা ঘটনা। এক বৃদ্ধাকে আর্মানি বালকেরা প্রহার করেছিল। ক্রন্দনরতা বৃদ্ধাকে দেখে ক্রুদ্ধ ভবানীচরণ সঙ্গীদের নিয়ে ব্যাট- উইকেট নিয়ে আর্মানিদের শাস্তি দিতে গেল। প্রচণ্ড প্রহার করে তাদের নাকখত দিইয়ে বাড়ি পাঠাল। হুগলিতে সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তৃতা দিতে এসেছিল। ভবানীচরণ ফিরিঙ্গি আর আর্মানি বালকরা কীভাবে মেয়েদের কলসি ঢিল মেরে ভেঙে দেয়- আর্মানি বালকরা কীভাবে এই বৃদ্ধার উপর অত্যাচার করেছে- সেই কথা জানাল সুরেন্দ্রনাথকে। কিন্তু, সুরেন্দ্রনাথ যখন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করবে বলল- তখন হতাশ হল ভবানীচরণ। আবেদন- নিবেদন করে কী হবে? আবেদন নয়- যুদ্ধ করেই ওদের দেশমাতৃকার বন্ধন উন্মোচন করতে হবে। তাই, যুদ্ধবিদ্যা শিখতে কোনও দেশীয় রাজ্যে যেতে হবে ওদের। সেই উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েছিল ওরা। এরপর কী হল? 

  অ্যানি বেসান্তের সঙ্গে ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ল কীভাবে?  ব্রাহ্ম কেশবচন্দ্র সেনের প্রভাব ওর জীবনে পড়ল কী করে? ওর নাম ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায় হল কী করে? বাল্যবন্ধু স্বামী বিবেকানন্দ এবং পরমহংস রামকৃষ্ণদেব সম্পর্কে ব্রহ্মবান্ধবের ধারণা কীভাবে পরিবর্তিত হল?  ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায় বিলেতে গিয়ে বেদান্ত দর্শনের প্রচারে আত্মনিয়োগ করল কেন? রবীন্দ্রনাথের সঙ্গেও এই মানুষটার সম্পর্ক বড়ই বিচিত্র। রবীন্দ্রনাথ ব্রহ্মবান্ধবের সাহায্য পেয়েছিল। শ্রদ্ধা ও অনুরাগের সম্পর্ক ছিল দুজনের। তবুও পরবর্তীকালে ব্রহ্মবান্ধব সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের ধারণা বদলে গেল কেন? ব্রহ্মবান্ধব শিবাজি উৎসব এবং বঙ্কিমোৎসব পালন করেছিল কেন? বঙ্গভঙ্গ- বিরোধী আন্দোলনে ওর কী ভূমিকা ছিল? জীবনের শেষ পর্বে প্রায়শ্চিত্ত করে পুনরায় ব্রহ্মবান্ধব হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করল কেন? প্রসঙ্গত, গেরুয়া বসন পরিহিত এই মানুষটার কাছে পরম পবিত্র ছিল এই পোশাক। বিদেশের মাটিতে হিন্দুধর্মের জয়কেতন উড়ুক চেয়েছিল ব্রহ্মবান্ধব। ভারতীয় অধ্যাপকের কাছে বিদেশীরা হিন্দু বেদান্ত দর্শনের শিক্ষা লাভ করুক এটাই ছিল ওর আকাঙ্ক্ষা। 

 একের পর এক পত্রিকা প্রকাশ করেছে ব্রহ্মবান্ধব। কিন্তু, 'সন্ধ্যা' পত্রিকা ছাপিয়ে গেল সব পত্রিকাকেই। সাধারণ মানুষের মনে আগুন জ্বালিয়ে দিল এই পত্রিকা। বঙ্কিমচন্দ্রের 'বন্দেমাতরম' স্বাধীনতা সংগ্রামের মন্ত্রে পরিণত হল। বোমার কথাও সেসময় স্বাধীনতাকামী বাঙালিকে জানাল 'সন্ধ্যা'। সন্ধ্যার অগ্নিশিখা ভয় পাইয়ে দিল শাসক ইংরেজকে। আক্রমণ নেমে এল 'সন্ধ্যা' পত্রিকা ও সম্পাদক  ব্রহ্মবান্ধবের উপরে। ব্রহ্মবান্ধব ঘোষণা করেছিল- ইংরেজের কারাগার ওকে বন্দী করে রাখতে পারবেনা। সত্যিই কী সেটা হল? জানতে গেলে পড়তে হবে অমিতাভ রায়ের উপন্যাস "সন্ধ্যাকাশে ঝড়ের পাখি"। 

পর্যালোচনা ও রেটিং

0 মোট 5.0 -এ
(0 পর্যালোচনা)
এই বইয়ের জন্য এখনও কোন পর্যালোচনা নেই

বই সংক্রান্ত জিজ্ঞাসা (0)

প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য

অন্যান্য প্রশ্নাবলী

কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি