শেল্টার
দেবাঞ্জন মুখোপাধ্যায়
মে মাসের এক কালবৈশাখীর সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল ঝিমলি। কে যেন বাইরে থেকে তার নাম ধরে ডেকেছিল। সেই যে বেরিয়েছিল সে, আর ফিরে আসেনি। ছ'মাস কেটে গিয়েছে। ঝিমলির বাবা, স্কুলশিক্ষক তাপস রায় আজও তার মেয়ের পথ চেয়ে বসে আছেন। নিয়মিত থানায় গিয়ে তিনি জানতে চান মেয়েটার কোনো খবর পুলিশ পেল কি না। থানার বড়বাবু বিব্রত বোধ করেন। বিদ্ধস্ত মানুষটাকে কোনো আশার কথা তিনি শোনাতে পারেন না। কিন্তু বড়বাবু প্রবলভাবে বিশ্বাস করেন যেখানেই থাকুক, ঝিমলি এখনও বেঁচে আছে। নভেম্বরের শেষ দিকে এক রাত্রে শিয়ালদহগামী ট্রেনে উঠে বসেছিল জেসমিন। রঞ্জন মজুমদারের রিজার্ভ সিটে গুটিসুটি মেরে ঘুমিয়েছিল সে। এক সহযাত্রীর মুখ থেকে রঞ্জন শুনেছিল মেয়েটি ট্রেনে উঠে থেকে কান্নাকাটি করেছে। জেসমিনের প্রেমিকেরও যাওয়ার কথা ছিল তার সঙ্গে, কিন্তু শেষ মুহূর্তে সে তার সিদ্ধান্ত বদলে ফেলেছে। কলকাতা শহরে কখনো যায়নি জেসমিন। সে শহরে তার পরিচিত একটিও মানুষ নেই। সে শুধু শুনে এসেছে শিয়ালদহ স্টেশনের আশেপাশে কিছু হোটেল আছে। সেরকমই একটা হোটেলে এসে উঠল সে। রঞ্জনের মায়া পড়ে গিয়েছিল মেয়েটির উপর। জেসমিন তাকে জানাল এই হোটেলে তার পক্ষে থাকা সম্ভব নয়। অন্য কোথাও তার একটু মাথা গোঁজার জায়গার বড় প্রয়োজন। বিপন্ন জেসমিনের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল রঞ্জন। তারপর??
'ইনজুরি টাইম'-এর পর বহু পাঠকের লেখকের কাছে আবদার ছিল--- সিক্রেট এজেন্ট 'হক'-কে ফিরিয়ে আনার। লেখক দেবাঞ্জন মুখোপাধ্যায় সেই আবদার মেনেই লিখেছেন 'শেল্টার'।
নারীপাচার, জঙ্গি দমনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা 'শেল্টার' ইনজুরি টাইমের মতো পাঠক সমাদৃত হবে এই আশা করাই যায়।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.