সোনার চাকতি
রূপক সাহা
পাশে শুয়ে রণিতা প্রচন্ড জোরে নাক ডাকছে। এই অভিজ্ঞতা আগে কখনো হয়নি কৌশিকের। ওর একবার ইচ্ছে হল, ধাক্কা মেরে রণিতাকে নীচে ফেলে দেয়। গাঁইয়া শ্বশুরের টাকাপয়সা দেখে ও বিয়েটা করেছিল। তখন পণ বাবদ টাকাটা না পেলে ব্যবসাটা গুছিয়ে নিতে পারত না। পরে বুঝেছে, ওর বউ হওয়ার কোন যোগ্যতা ই নেই রণিতার। দু তিনবার কর্পোরেট পার্টিতে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে গিয়ে এক জায়গায় বসে স্রেফ কোল্ড ড্রিংকস খেত। ডান্স কী বস্তু সেটাও আগে দেখেনি কখনো। বাড়ীতে সাঁই বাবার পূজো করব আবার তাজ বেঙ্গলের পার্টিতে গিয়ে মধ্যমণি হব সেই মেটেরিয়াল রণিতা নয়। চোখের সামনে রেশমের চেহারাটা ভেসে উঠল কৌশিকের।
হ্যাঁ, ওর মত একটা মেয়ে যদি পাশে থাকত তাহলে ক্লায়েন্ট ধরতে কোন সমস্যা ই হতনা কৌশিকের। দরকার হলে কয়েক ঘন্টার জন্যে রেশমকে মিস্টার এরডেনারকে ধার দেওয়া ও যেত।
রণিতার মনে হয় কোন একটা সমস্যা আছে। নাক ডাকা অসহ্য মনে হওয়ায় বিছানা ছেড়ে বারান্দায় এসে একটা সিগারেট ধরাল কৌশিক। দূরে ইস্টার্ন বাইপাসকে দেখে হিরে বসানো নেকলেস মনে হচ্ছে যেটা বাঁক নিয়ে চলে গেছে এয়ারপোর্টের দিকে। সিগারেট খাওয়া শেষ করে বারান্দা থেকে আসার সময় চোখ গেল উল্টোদিকের বিল্ডিংয়ে। তেরো তলার ফ্ল্যাটের বাথরুমের জানলার দিকে। হঠাৎ আলো জ্বলে উঠল বাথরুমে আর তখনই ও শান্তাকুমারীর নগ্ন দেহটা দেখতে পেল। শাওয়ারের নীচে এসে দাঁড়িয়েছে। রাত দুটোয় স্নান?
রূপক সাহার নতুন উপন্যাস "সোনার চাকতি" বইয়ে মিশে গেছে লড়াই, জেদ, ষড়যন্ত্র, খেলার জগতের অন্ধকার দিক, দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই এবং স্বপ্নকে বুকে নিয়ে পথ চলার এক অনন্য আখ্যান।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.