সৌবল শকুনি
সুচেতনা সেন কুমার
সৌবল শকুনি, মহাভারতের প্রতিনায়ক গান্ধাররাজ শকুনিকে নতুন আলোয় দেখার একটি প্রচেষ্টা মাত্র। পাঠক মাত্রেই জানেন শকুনি নিজের হাতে তার ভগিনীর সংসারউদ্যানটিকে যেন মরুভূমিতে পরিণত করেছেন। কিন্তু কেন? এই প্রশ্নের উত্তর সন্ধানই সৌবল শকুনি।
বৈধব্যযোগ নিবারণের জন্য এক অজশিশুর সঙ্গে বিবাহ হয়েছিল সুবলকন্যা গান্ধারীর, তারপর হস্তিনাপুরের আদেশ রচনা করলো তার অমোঘ ললাটলিপি। ধৃতরাষ্ট্রের গৃহিণী হয়ে কী পেল সে? আর বিনিময়ে কীই বা পেল গান্ধার? শকুনির নিরানব্বই ভ্রাতা আর পিতার মৃত্যু কোন্ দিশায় পরিচালনা করলো তার ভাগ্যকে? প্রতিশোধের পথের পথিক হয়ে একসময় প্রৌঢ় গান্ধাররাজ দ্বারকার কোন্ কুশল রাজনীতিবিদকে পেলেন তার সঙ্গী হিসেবে? শকুনি আর দ্বারকাধীশের উদ্দেশ্য কি আদৌ পরস্পরের বিরোধী?
মহাভারতের আদিপর্বে সৌতি এই মহাকাব্য প্রসঙ্গে বলেছেন “এই বিশাল মহীতলে কত শত মহাত্মারা ঐ ইতিহাস কহিয়া গিয়াছেন, অনেকেই কহিতেছেন, এবং ভবিষ্যৎকালেও কহিবেন”।
গান্ধাররাজ শকুনির দৃষ্টিতে সেই মহাকাব্যকে দেখতে চাওয়ার পরিণতি সৌবল শকুনি, তার চরিত্রের সশ্রদ্ধ বিনির্মাণ। প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল কলকাতা বইমেলা ২০২০ তে, আর এখন নতুন প্রচ্ছদে পরিমার্জিতরূপে একলব্য প্রকাশনের হাত ধরে তার পুনরায় আত্মপ্রকাশ।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি