স্ট্রিং ও M-তত্ব
নাজমুজ সাহাদাত সরকার
স্ট্রিং ও M-তত্বের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
আমি নাজমুজ, মহিষাদল রাজ কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। শৈশব থেকে পদার্থ বিজ্ঞান পড়তে আমাকে ভালো লাগে। এক প্রকার, আমি এটার প্রতি তীব্র ভাবে আসক্ত। এর সৌন্দর্য, ধারাবাহিকতা, ও কল্পনার জগত, ও ভবিষ্যত দেখানোর মানসিকতা, আমার মস্তিস্ককে কিছুটা হলেও রোমাঞ্চিত করেছে। পদার্থবিদ্যাকে বিষয় বলার চাইতে আমি এটাকে চিন্তাশীল জগৎ হিসেবে বিবেচনা করতে বেশি স্বস্তি বোধ করি। কোনো কিছু যা মানুষকে চিন্তা করতে বাধ্য করে, তা বিষয়ের চাইতেও অতি বুনিয়াদি কিছু একটা। অনেকের কাছে এটি অনুভূত হয় যে, এই দুনিয়ায় এই জগতে আমাদের বিশেষ স্থান রয়েছে। কিন্তু সত্যটি বেশ হতাশা সম্পন্ন। বিশ্বব্রহ্মান্ড যথেষ্ট বৃহৎ সব দিক থেকেই। এর সাইজ ৯২ থেকে ১৩ বিলিয়ন আলোকবর্ষ। এখানে রয়েছে ২ টীলীয়নের মতো গ্যালাক্সি বা আকাশ গঙ্গা। প্রতিটি গ্যালাক্সি বহন করে কম পক্ষে ১০০ থেকে ২০০ বিলিয়নের মতো তারকা। সেই সব অজানা তারার মধ্যে কিছু তারা সূর্যের মতো। এদের ইয়েলো- ডুয়ার্ক তারা বলা হয়। আর সে সব সূর্যের নিজস্ব গ্রহ ব্যবস্থাও থাকতে পারে। যেখানে পৃথিবীর মতো গ্রহ থাকার সম্ভাবনাও যথেষ্ট প্রবল। আমাদের সূর্য একটি মধ্যম বর্গীয় তারা যা, ৪ টি গ্রহ নিয়ে মিল্কী ওয়ে আকাশ গঙ্গাকে কেন্দ্র করে চারপাশ থেকে পরিক্রমা করছে। একবার পরিক্রমা করতে সময় নেয় ২৫০ মিলিয়ন বছর। এই ব্রহ্মান্ডে কোনো কিছুই নিশ্চয়তা পূর্ণ নয়। আমরাও জানিনা আমাদের ভবিষ্যত কী হতে চলেছে। আমাদের গ্রহ পৃথিবী, ভোরের আলোয় ভাসমান ধুলিকনার মতো অজানা কোনো গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছুটে চলেছে। তাছাড়া প্রতি ১০০ মিলিয়ন বছর অন্তর কোনো না কোনো উল্কাপিন্ড পৃথিবীর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পূর্বের উল্কাপিন্ডটি ৬৪ মিলিয়ন বছর পূর্বে ডাইনোসরদের আমলে পৃথিবীর সাথে ধাক্কা খেয়েছিল। যা দীর্ঘ ১৬৮ মিলিয়ন বছর ব্যাপী ডাইনোসরদের রাজত্বকে নিমেষের মধ্যে উধাহ করে দেয়। অতএব বিশৃঙ্খলাই আমাদের ভবিতব্য।...
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.