স্বাধীনতার অমৃতকাল : ভারতের ক্ষুধা, বৈষম্য এবং দারিদ্র
লেখক : রতন খাসনবিশ
ভারত ছিল কৃষিপ্রধান দেশ। এদেশের শ্রমসম্পদের অধিকাংশই ছিল কৃষি-নির্ভর। ইতিহাসগত ভাবে এই শ্রমসম্পদকে শিল্পক্ষেত্রে টেনে আনার কথা ছিল সমাজের পুঁজিবাদী রূপান্তরের মাধ্যমে। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, এদেশের জাতীয় আয়ে কৃষির গুরুত্বহ্রাস ঘটা সত্ত্বেও তা সেভাবে হয়নি। কারণ এদেশের বুর্জোয়ার স্বাধীন বিকাশের অভাব। এখন প্রশ্ন হল, এই কৃষি-বিযুক্ত শ্রমসম্পদের অধিকাংশ, যা সংগঠিত শিল্পক্ষেত্র টেনে নিতে অক্ষম, সেটা গেল কোথায়? সেটা স্থান পেল অসংগঠিত ক্ষেত্রে। তৈরি হল এক বিপুল শ্রমিকের মজুতবাহিনী, যাদের শোষণ করেই এদেশে হৃষ্টপুষ্ট হয়েছে নয়া উদারবাদ। বিগত দশ বছরে এই শোষণ সর্বগ্রাসী হয়ে উঠেছে। বে-লাগাম আয়বৈষম্য, দারিদ্র এবং অপুষ্ট মানবসম্পদ ভারতকে আজ এক নজিরবিহীন সংকটের সম্মুখীন করেছে। কিন্তু গণতান্ত্রিক পরিসরে এর ন্যায্যতা নির্মাণ সম্ভব নয়। নরেন্দ্র মোদীর শাসনকাল গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ধ্বংস করেই নির্মাণ করতে চাইছে এর সামাজিক ন্যায্যতা। ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষ্যে এই প্রেক্ষাপটেই রচিত হচ্ছে 'আজাদি কা অমৃত মহোৎসব'-এর নিষ্ঠুর রূপকথা, যে-রূপকথার তলায় লুকিয়ে থাকে মহাকাশবিজ্ঞানীর চন্দ্রযান উৎক্ষেপনের সাফল্যলাভের আশায় তিরুপতি মন্দিরে পুজোদান, বা ধর্ষিতা কুকি মহিলাদের বিবস্ত্র করে প্রকাশ্য রাস্তায় ঘোরানোর মতো দগদগে ঘা। এই ক্ষত নিরাময়ের উদ্দেশ্যেই আমাদের এ-বইয়ের প্রকাশ।
ভারত ছিল কৃষিপ্রধান দেশ। এদেশের শ্রমসম্পদের অধিকাংশই ছিল কৃষি-নির্ভর। ইতিহাসগত ভাবে এই শ্রমসম্পদকে শিল্পক্ষেত্রে টেনে আনার কথা ছিল সমাজের পুঁজিবাদী রূপান্তরের মাধ্যমে। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, এদেশের জাতীয় আয়ে কৃষির গুরুত্বহ্রাস ঘটা সত্ত্বেও তা সেভাবে হয়নি। কারণ এদেশের বুর্জোয়ার স্বাধীন বিকাশের অভাব। এখন প্রশ্ন হল, এই কৃষি-বিযুক্ত শ্রমসম্পদের অধিকাংশ, যা সংগঠিত শিল্পক্ষেত্র টেনে নিতে অক্ষম, সেটা গেল কোথায়? সেটা স্থান পেল অসংগঠিত ক্ষেত্রে। তৈরি হল এক বিপুল শ্রমিকের মজুতবাহিনী, যাদের শোষণ করেই এদেশে হৃষ্টপুষ্ট হয়েছে নয়া উদারবাদ। বিগত দশ বছরে এই শোষণ সর্বগ্রাসী হয়ে উঠেছে। বে-লাগাম আয়বৈষম্য, দারিদ্র এবং অপুষ্ট মানবসম্পদ ভারতকে আজ এক নজিরবিহীন সংকটের সম্মুখীন করেছে। কিন্তু গণতান্ত্রিক পরিসরে এর ন্যায্যতা নির্মাণ সম্ভব নয়। নরেন্দ্র মোদীর শাসনকাল গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ধ্বংস করেই নির্মাণ করতে চাইছে এর সামাজিক ন্যায্যতা। ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষ্যে এই প্রেক্ষাপটেই রচিত হচ্ছে 'আজাদি কা অমৃত মহোৎসব'-এর নিষ্ঠুর রূপকথা, যে-রূপকথার তলায় লুকিয়ে থাকে মহাকাশবিজ্ঞানীর চন্দ্রযান উৎক্ষেপনের সাফল্যলাভের আশায় তিরুপতি মন্দিরে পুজোদান, বা ধর্ষিতা কুকি মহিলাদের বিবস্ত্র করে প্রকাশ্য রাস্তায় ঘোরানোর মতো দগদগে ঘা। এই ক্ষত নিরাময়ের উদ্দেশ্যেই আমাদের এ-বইয়ের প্রকাশ।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.