উপেক্ষিত ত্রয়ী

(0 পর্যালোচনা)

লিখেছেন:
Narshisas Chakraborty
প্রকাশক:
বিন্দুবিসর্গ

দাম:
₹180.00

পরিমাণ:

মোট দাম:
শেয়ার করুন:

উপেক্ষিত ত্রয়ী (হার্ড বাইন্ডিং)

নার্শিসাস চক্রবর্তী 

নাটকে আলোক শিল্প বললে প্রথম কার কথা মাথায় আসে? তাপস সেন। 

অভাবেও কীভাবে বিশ্বমানের আলোকশিল্প প্রদর্শন করা যায়, তা আমাদের দেখিয়েছিলেন তিনি। আলো কে পর্যবেক্ষণ করা তাঁর সখ ছিল। 

তাই তো ‘সেতু’ নাটকে সম্ভব করেছিলেন মঞ্চের মধ্যে ট্রেন চালিয়ে। নাটকটি দেখতে নয় লোকে ভিড় করতো আলোকশিল্প দেখতে। 

আর বিভিন্ন ধরনের আলোর জন্য তিনি কী ব্যবহার করতেন জানেন? 

পনডস পাউডারের ডিবে অথবা বালতি এমনকি নানা আকৃতির বাক্স। 

সেই মানুষটি কৃতিত্বের জন্য সম্মান পাননি তা নয়, তবে তাঁর প্রতিভার তুলনায় সেই সম্মান নগন্য। উপেক্ষিত ত্রয়ী বইটির প্রথম প্রবন্ধ তাঁকে ঘিরেই। 

তাঁর সামগ্রিক কর্ম জীবন ও প্রতিভাই আলোচিত হয়েছে প্রথম প্রবন্ধটিতে। 

কবি সুবীর মন্ডল। 

হঠাৎ-ই এই প্রতিভাময় কবি মারা গেলেন মাত্র ৪৫ বছর বয়সে ক্যানসার  আক্রান্ত হয়ে। 

তিনি বেঁচে থাকলে বাঙলা সাহিত্য তাঁর থেকে যে আরো কত কী পেতে পারত। তাঁর লেখার আকুল আবেগ যখন আর্তনাদ করে বলে “আমার মায়ের চোখের থেকে তুলসী পাতা সরিয়ে নাও” তখন পাঠকের চোখও ভিজে আসে। 

ওনার কথা ধাক্কা দিতে পারত মানুষের মনের গহীনে। আবার প্রেম নিয়ে সাবলীল ভাবে তিনি “শৃঙ্গার চতুর্দ্দশী”-র মতো গ্রন্থ রচনা করেন। যা কবিতায় আদি রসের প্রাধান্যকে এক অন্য মাত্রা দেয়। অথচ কোনো পংক্তিই অশ্লীল নয়। 

আবার মৃত্যু শয্যায় যখন নিজের মৃত্যুকে পরিহাস করে বলেন“এইটুকু তো রাস্তা শ্মশান থেকে বাড়ি” তখনও পাঠক নিজের সাথে একাত্ম করে ফেলে তাঁর মৃত্যু চেতনাকে। 

পাঠকের নিজের কথা বলে যাতে মনে হয় তাই তিনি লিখেছিলেন “পাউর” উপন্যাসটি “তুমি” কে নায়ক করে। অর্থাৎ সম্পূর্ণ উপন্যাসটি দ্বিতীয় পুরুষে লেখা। এই অভাবনীয় প্রতিভা অকালে ফুরিয়ে গেলেন। তাঁকে নিয়ে গ্রন্থটির দ্বিতীয় প্রবন্ধ। 

তৃতীয় প্রবন্ধ এক জন্মকালে সমস্যাজনক চোখ নিয়ে জন্মানো এক বাঙালী চিত্রশিল্পীকে নিয়ে। যিনি শেষে অন্ধ হয়ে যান। 

সত্যজিত রায়ের করা ছবি ইনার আই’ যাকে নিয়ে সেই বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায়। 

নন্দলাল বসুকে শিক্ষকরূপে পেয়েও সাহায্য বিশেষ পাননি, এমনকি নন্দলাল চাননি তিনি কলাভবনে পড়ুক। রবীন্দ্রনাথের সক্রিয় হস্তক্ষেপে তা সম্ভব হয়েছিল। 

বিশ্বভারতী থেকে কর্মসূত্রে নেপাল ও মুম্বাই হয়ে পুনরায় বিশ্বভারতীতে ফেরেন অন্ধত্ব নিয়ে। সেই অন্ধ অবস্থাতে তাঁর নির্মাণ করা ম্যূরাল আজও হিন্দী ভবনে শোভা পাচ্ছে। 

এই সময়ে তিনি প্রচুর কোলাজও নির্মাণ করেছিলেন। 

এই তিন নাটক শিল্প, সাহিত্য ও চিত্রকলার শিল্পীরা জীবনে কোনো না কোনো ভাবে উপেক্ষিত হয়েছেন।

তাদের সামগ্রিক জীবন প্রতিভা ও কৃতিত্ব নিয়ে এই গ্রন্থ “উপেক্ষিত ত্রয়ী”। 

এই বইয়ের জন্য এখনও কোন পর্যালোচনা নেই

বই সংক্রান্ত জিজ্ঞাসা (0)

প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য

অন্যান্য প্রশ্নাবলী

কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি

Boier Haat™   |   © All rights reserved 2024.