বিদ্যাসাগরের বিজ্ঞান-ভাবনা
অরুণাভ মিশ্র
'বিদ্যাসাগর নাস্তিক ছিলেন এ-কথা বোধহয় তোমরা জান না; যাঁহারা জানিতেন, তাঁহারা কিন্তু সে-কথা লইয়া তাঁহার সঙ্গে কখনও বাদানুবাদে প্রবৃত্ত হইতেন না।'--
-কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য
চিঠির উপর "শ্রী হরি" লেখা থাকিলে লোকে নাস্তিক হয় কিনা ইহার উত্তর দেওয়া আমার অসাধ্য। তবে আমি শপথপূর্বক বলিতে পারি যে, কোনো কোনো সময় বিদ্যাসাগর এই প্রকার বাক্য প্রয়োগ করিয়াছেন- 'ঈশ্বর যদি থাকেন তিনি ত' আর কামড়াবেন না'। এ কথা আস্তিক না নাস্তিকের মুখে শোভা পায় তাহা বিচক্ষণ ব্যক্তিরা বিবেচনা করিবেন।'-- কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কি নাস্তিক ছিলেন? এ প্রশ্ন বহুবার উত্থাপিত হয়েছে। বিদ্যাসাগরকে অজ্ঞেয়বাদী হিসেবেই দেখেছেন তাঁর সমকালে অনেকেই। ধর্ম ও ঈশ্বর সম্বন্ধে তিনি ছিলেন নিস্পৃহ। বিদ্যাসাগরের সমগ্র জীবনাচরণে তাঁর বিজ্ঞান-প্রীতি, বিজ্ঞান শিক্ষায় অনুরাগ, যুক্তিবাদী ভাবনার নানা প্রতিফলন আমরা দেখতে পাই। বাংলা শিক্ষাজগতে আধুনিক চিন্তা ও বিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্তি তাঁর হাত দিয়েই হয়েছে। আজীবন লড়াই করেছেন অন্ধ গোঁড়ামির বিরুদ্ধে। তাঁর ব্যক্তিগত জীবনেও প্রতিফলিত হয়েছে বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী চেতনা।
এই গ্রন্থের ১৪টি অধ্যায়ে সহজ বিশ্লেষণে মূর্ত হয়েছেন বিজ্ঞান-পথিক বিদ্যাসাগর।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি