অচিনপুর
হুমায়ুন আহমেদ
হুমায়ূন আহমেদের কোনো উপন্যাসই বড়ো নয়। উপন্যাসের ভারী শরীর তিনি পছন্দ করেন। যতটা বলেন তার চেয়ে, আরও বেশি না-বলা থেকে যায়। তিনি মনে করেন, মানবচরিত্র জটিল ও রহস্যময়। তাঁর নির্ভার মেদহীন উপন্যাস অনেক কিছু না-বলার ইচ্ছেকে বাঁচিয়ে রেখে তিনি রহস্যময়তা সৃষ্টি করতে চান। বয়ঃসন্ধিতে উপনীত রঞ্জুর চোখ দিয়ে দেখা নানাজান, বড়ো নানি, ছোটোনানি, বাদশামামা, নবুমামা, সফুরাখালা, লিলি, লাল মামি হয়ে উঠেছে অন্তরঙ্গ ও নিবিড় বাস্তব অচিনপুরের অধিবাসী। বড়ো একটি যৌথ পরিবার, বিশাল বাড়ি, বিষন্ন কতগুলো সংলগ্ন মানুষ ক্রমে কেমন করে অর্জন করল বিচ্ছিন্নতা তারই বিশ্বাসযোগ্য কল্পকথা ‘অচিনপুর’। ‘অচিনপুরের গল্প লিখতে গভীর বিষাদে মন আচ্ছন্ন হয়ে আসছে। অনুভব করছি, সুখ এবং দুঃখ আসলে একই জিনিস। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সুখ বদলে গিয়ে দুঃখ হয়ে যায়। দুঃখ হয় সুখ। জীবনের প্রবল দুঃখ ও বেদনার ঘটনাগুলি মনে পড়লে আজ আমার ভালো লাগে। প্রাচীন সুখের স্মৃতিতে বুক বেদনায় ভারাক্রান্ত হয়’। —হুমায়ূন আহমেদের প্রাঞ্জল গদ্যভাষায় রচিত হয়েছে ‘অচিনপুর’, জলরঙে আঁকা অস্পষ্ট রেখাচিত্রের মতো তাঁর বিন্যাস।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.