অদ্ভুতুড়ে
সুদেব দাস
------------
নিউটনের ভূত
মাত্র এক সপ্তাহ হয়েছে ছয় মাসের অন সাইট ডেপুটেশনে লন্ডন এসেছে শুভম। তিন চার দিনের মধ্যেই টেকনিক্যাল লিড রূপক দার সঙ্গে বেশ সখ্যতা তৈরি হয়েছে। রুপক দা গত দশ বছর ধরে লন্ডনের কেনসিংটন এর বাসিন্দা। শুক্রবার লাঞ্চের সময় রূপক দা জিজ্ঞাসা করল "এই সানডে ফ্রী আছিস? সকালে আমার ফ্ল্যাটে চলে আয়। তোর কাছ থেকে জমিয়ে কলকাতার গল্প শুনবো।" শুভম যেখানে থাকে সেখান থেকে রূপক দার ফ্ল্যাট বাসে ১৫-২০ মিনিট। এরকম লোভনীয় একটা প্রস্তাব ছাড়ার পাত্র শুভম নয়। রবিবার সকাল সাড়ে নটার মধ্যে শুভম পৌঁছে গেল রুপক দার ফ্ল্যাটে। দু কামরার ছোট ফ্ল্যাট যেখানে বর্তমানে রূপক দা, তার স্ত্রী রুমেলি ও একমাত্র ছেলে রৌণক থাকে। মাঝেমধ্যে অবশ্য রুপক দার বাবা-মা ও শ্বশুর শাশুড়ি পালা করে আসেন। ব্ল্যাক কফি ও কুকিজ দিয়ে আড্ডা বেশ জমে উঠেছে। রুপক দা ও রুমেলির সাথে সাত বছরের রৌণকও মন্ত্রমুগ্ধের মত কলকাতার গল্প শুনছে। তখন বেলা ১১ টা বাজে। হঠাৎ রুপক দা শুভম এর পিঠে একটা আলতো করে চাপড় মেরে বলল "চল, তোকে একটা জায়গা দেখিয়ে আনি। ভেরি ইন্টারেস্টিং"। রুমেলি বলে দিল তাড়াতাড়ি ফিরে এসো, লাঞ্চ কিন্তু রেডি। রুপক দার ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে শুভম জিজ্ঞাসা করল "আমরা কোথায় যাচ্ছি রুপক দা?" রুপক দা জানালো "আমরা একটা হেরিটেজ হাউসে যাচ্ছি। বাড়িটি খুব একটা বড় নয় তবে সেখানে একটা বিখ্যাত বিজ্ঞানীর আত্মা নাকি আজও ঘুরে বেড়ায়। নিউটনের ভূত"। কোনরকমে হোঁচট খাওয়া থেকে নিজেকে সামলে তোতলাতে তোতলাতে শুভম জিজ্ঞাসা করল "নিউটন মানে স্যার আইজ্যাক নিউটন যিনি মাধ্যাকর্ষণ সূত্র...
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি