আধুনিক তত্ত্ববিশ্ব এবং বিশ্বসাহিত্যের গ্রন্থিপাঠ
অর্ক চট্টোপাধ্যায়
তত্ত্ব এবং সাহিত্যের নিবিড়পাঠ মানেই টেক্সটের টেক্সচারে ঢুকে তার গ্রন্থি-উপগ্রন্থিকে তুলে ধরা, দেখানো একটি লেখা কীভাবে বিনির্মিত এবং অবিনির্মিত হয়, গ্রন্থিমুক্ত হয়ে তবেই আবার গ্রন্থিবদ্ধ হয়। পুরোনো গিট খুলে যখন নতুন গিঁট লাগানো হয় তখন সমালোচনাবলে লেখা বদলে গেছে। বিশ্লেষণ এভাবেই পরিবর্তন নিয়ে আসে। মূলত পাশ্চাত্য সাহিত্য এবং তত্ত্ব নিয়ে লেখালিখির সংকলনটি দুটি ভাগে বিভক্ত। প্রথমার্ধ দর্শনতত্ত্ব, সংস্কৃতি এবং রাজনীতি নিয়ে, যদিও সাহিত্য উঠে এসেছে উদাহরণস্বরূপ। জাক লাকাঁ, জাক দেরিদা, আলেন বাদিউ, মিশেল ফুকো, জর্জিও আগাম্বেন, ফ্রেডরিক জেমিসন, ওয়াল্টার বেঞ্জামিনদের নিয়ে আলোচনা রয়েছে। লাকাঁর প্রতর্ক-তত্ত্ব, দেরিদার চিন্তায় গাণিতিকতা থেকে প্রেত, হিংসা, স্বাক্ষর, জেমিসন- বেঞ্জামিনের রাজনৈতিক প্রস্তাবনা ইত্যাদি ছুঁয়ে গেছে তত্ত্বের আলোচনা। রোলাঁ বার্থের শোকানুভব অভিজ্ঞতা, বাদিউর ঘটনাবাদ, সমসময়ের রাষ্ট্রবাদী রাজনীতির দার্শনিক প্রস্থান, বস্তু-তত্ত্ব, শরীরদর্শন, বিদ্যায়তনের রাজনীতি, ডিসিপ্লিন, কবিতায় অব্যক্ততার উপস্থিতি- এই ধরনের নানা প্রসঙ্গ স্পর্শ করে গ্রন্থের দ্বিতীয়াংশে আধুনিক পাশ্চাত্য বিশ্বসাহিত্য আলোচ্য বিষয় হয়েছে। আলবেয়ার কামু, পিটার হ্যান্ডকে, গুন্টার গ্রাস, শার্ল বোদলেয়ার, ডেরেক ওয়ালকট, জেমস জয়েসের পাশাপাশি নবারুণ ভট্টাচার্যর মতো বাংলা সাহিত্যের কিছু খণ্ড পাঠও রয়েছে।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.