অগ্নিযুগের বিপ্লবীদের পরমাত্মীয়রা
তুহিন শুভ্র ভট্টাচার্য
'ভারি দুঃখ হয় যখন অহিংসবাদীরাও আমাদের হিংস্র বলে নিন্দা করে। আর মনে হয়, পরাধীন দেশে এইটাই বুঝি সবচেয়ে বড় অভিশাপ।'--- পঙ্কজিনী দেবীকে লেখা বিপ্লবী প্রদ্যোৎকুমার ভট্টাচার্যের চিঠি থেকে
----------
বিস্মৃতির অতলেই হারিয়ে গেছেন তাঁরা। অথচ ভারতের অগ্নিযুগের বিপ্লবী আন্দোলনে তাঁদের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। ব্রিটিশ পুলিশের হাত থেকে বিপ্লবীদের রক্ষা করতে নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বার বার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাঁরা। গোপনে ফেরারী বিপ্লবীদের আশ্রয় দিয়েছেন, বিপ্লবীদের আগ্নেয়াস্ত্র লুকিয়ে রেখেছেন, কখনও-বা গোপন খবর সংগ্রহ করে দিয়েছেন বিপ্লবীদের জন্য। বিপদে-আপদে বুক দিয়ে আগলে রেখেছিলেন বিপ্লবীদের। সেই অনামা মানুষরা, সেই সব অনাত্মীয়রাই সেসময় বিপ্লবীদের পরমাত্মীয় হয়ে উঠেছিলেন। অগ্নিযুগের বিপ্লবী আন্দোলনের সহায়ক সেইসব অনামা পরমাত্মীয়দের সেদিনের সেই রোমাঞ্চকর ভূমিকার কথা সাজিয়ে দেওয়া হল দুই মলাটের মধ্যে। বিস্মৃত-প্রায় ইতিহাসের উজ্জ্বল উদ্ধার।
লেখক পরিচিতি :
তুহিন শুভ্র ভট্টাচার্য- কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠরত অবস্থায় বিভিন্ন সংবাদপত্র এবং সাময়িক পত্রে লেখালিখি শুরু। আনন্দবাজার পত্রিকা, দেশ, অমৃত, কোরক, Hindusthan Standard, Amritabazar Patrika, Economic Times, Quest, Now এবং The Statesman প্রভৃতি পত্রিকায় নানা সময়ে লেখালিখি করেছেন। মুখ্যত পুরোনো কলকাতা ও ঐতিহ্যপূর্ণ বাড়ির ইতিহাসচর্চা, বিপ্লবীদের সাহিত্য, জীবনী ও চিঠিপত্র অনুসন্ধান এবং রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে গবেষণায় ব্যাপৃত।
কর্মজীবনে আকাশবাণীর কলকাতা, শিলং, রাউরকেল্লা এবং মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে প্রোগ্রাম এক্সিকিউটিভ ছিলেন। আকাশবাণীর কলকাতা এবং মুর্শিদাবাদ কেন্দ্র থেকে বহু তথ্যসমৃদ্ধ বেতার অনুষ্ঠানের লেখক ও প্রযোজক। পরবর্তীকালে জ্ঞানবাণী বেতারকেন্দ্রে কলকাতার অ্যাসিস্ট্যান্ট স্টেশন ম্যানেজার ছিলেন। বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত।
+
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.