আগুনের পরশমণি
হুমায়ূন আহমেদ
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে রুদ্ধশ্বাস মর্মস্পর্শী উপন্যাস।
--------------------
রাত্রি জানালা বন্ধ করবার জন্যে এগিয়ে যেতেই আলম বলল, বন্ধ করবেন না। প্লিজ, বন্ধ করবেন না।
সে পাশ ফিরতে চেষ্টা করতেই তীব্র ব্যথায় সমস্ত চেতনা আচ্ছন্ন হয়ে গেল। মাকে ডাকতে ইচ্ছা করছে। ব্যথার সময় মা মা বলে চিৎকার করলেই ব্যথা কমে যায়। এটা কি সত্যি, নাকি সুন্দর একটা কল্পনা?...
খোলা জানালার পাশে রাত্রি দাঁড়িয়ে আছে। হাওয়ায় তার চুল উড়ছে। আহ্, কী সুন্দর দেখাচ্ছে মেয়েটাকে! বেঁচে থাকার মতো আনন্দ আর কিছুই নেই। কত অপূর্ব সব দৃশ্য চারদিকে। মন দিয়ে আমরা কখনো তা দেখি না। যখন সময় শেষ হয়ে যায় তখনি শুধু হাহাকারে হৃদয় পূর্ণ হয়।
রাত্রি কী যেন বলছে। কী বলছে সে? আলম তার ইন্দ্রিয়গুলি সজাগ করতে চেষ্টা করল।
-----------------
পটভূমি : ঢাকা, বাংলাদেশ।
সময়কাল : ১৯৭১।
মতিন সাহেব ঘড়ি দেখলেন। কারফিউয়ের সময় দ্রুত এগিয়ে আসছে। ছেলেটি কি ডাক্তার নিয়ে আসবে না? তাঁর নিজেরই কি যাওয়া উচিত? আশেপাশে ডাক্তার কে আছেন? একজন লেডি ডাক্তার এই পাড়াতেই থাকেন। তার বাড়ি তিনি চেনেন না। কিন্তু খুঁজে বের করা যাবে। সেটা কি ঠিক হবে? গুলি খেয়ে একটি ছেলে পড়ে আছে!... ছেলেটার যদি কিছু হয়?...
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.