আলিক ডিটেকিনের ডিটেকটিভ কাহিনি
অনুবাদ: ননী ভৌমিক
“ডিটেকটিভ সাহিত্যে এক জাতের গোয়েন্দা দেখা যায়, তাঁরা আদতে গোয়েন্দাই নন। এই ধরনের চরিত্ররা সাধারণত নিজেরা বিপাকে পড়ে বা কখনও ঘনিষ্ঠ কাউকে বিপদ থেকে বাঁচাতে জড়িয়ে পড়েন কোনও রহস্যের সঙ্গে। তার পর নিজ বুদ্ধিবলে উন্মোচন করেন রহস্যজাল।
এই ধরনের ডিটেকটিভদের উদাহরণস্বরূপ প্রথমেই বলতে হয় আলিক ডিটেকিনের নাম। আলিক ডিটেকিন গোয়েন্দা নন। স্কুলে পড়া বাচ্চা ছেলে। বাড়ি রাশিয়ায়। অনেক বাঙালি, বিশেষ করে যে সব ছেলেমেয়ের স্কুলজীবন কেটেছে উনিশশো সত্তরের দশকে, তারা ডিটেকিনকে ভালোমতো চেনে।
রুশ সাহিত্যিক আনাতোলি আলেক্সিনের (জন্ম ১৯২৪) লেখা কিশোর উপন্যাস ‘উচিনস দ্রাশনে ইস্তোরিয়া’, বা ‘ভেরি স্কেয়ারি স্টোরি’-র নাম ননী ভৌমিকের বাংলা অনুবাদে হয়েছিল ‘ভয়ঙ্কর রোমহর্ষক ঘটনা।’
কিশোর আলিক ডিটেকিনের শখ ছিল ডিটেকটিভ হওয়া। হাবেভাবে, চলনবলনে একটা গোয়েন্দাসুলভ ভাব দেখাতে পছন্দ করত সে। আর পছন্দ করত তার মতে ক্লাশের সবচেয়ে সুন্দরী মেয়ে নাতাশা কুলাগিনাকে সেই ক্লাস ওয়ান থেকে…
বিপদে তাদের পড়তেও হল শেষপর্যন্ত। ঘোর বিপদের মধ্যেও মাথা খাটাতে পারল ছোট্ট আলিক। তার বুদ্ধিতেই বিপদ থেকে উদ্ধার পেল সবাই…
মস্কোর প্রগতি প্রকাশনের রামধনু সিরিজের উজ্জ্বল হলদে রঙের মলাটের শ’খানেক পৃষ্ঠার বইটি অনেকেই হয়তো হারিয়ে ফেলেছেন। যেমন তারা হারিয়ে ফেলেছেন কৈশোরকে…” – প্রসেনজিৎ দাশগুপ্ত (সাহিত্যের গোয়েন্দা)
সেই যারা আলিককে চেনেন আর যারা নতুন করে তার সঙ্গে পরিচিত হতে চান – সবার জন্যে মন্তাজ থেকে বইটি নতুন করে প্রকাশিত হল, মূল রুশি থেকে অলঙ্করণ সহ।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.