অপর্ণা সেন
চণ্ডী মুখোপাধ্যায়
প্রচ্ছদ পরিকল্পনা ও অঙ্গসজ্জা : শুভদীপ সেনশর্মা
চলচ্চিত্র গ্রন্থমালা সিরিজ ১৫
অপর্ণা সেন আউটডোর শুটিং দীঘায়। 'জীবন সৈকতে' ছবির শুটিং। জলে পা ভিজিয়ে গান গাইছিলেন 'সাগর ডাকে আমায়'। তখনকার টিপিকাল বাংলা সিনেমা। দীঘার বালুকাবেলায় তখন প্লেন নামে। সেই দিগন্তবিস্তৃত বালুকাবেলায় অপর্ণা-চালু টালিগঞ্জের 'নায়িকা সংবাদে' তিনি বদল আনছিলেন, অভিনয়সূত্রে। আনছিলেন এক অন্য সফিসটিকেশন। সুচিত্রা সাবিত্রী সুপ্রিয়ার পরবর্তী প্রজন্মের নায়িকা-চালু বাংলা ছবির এক বোকাবোকা সিকোয়েন্সকেও তিনি অবিশ্বাস্যভাবে বিশ্বাস্য করে তুলেছিলেন নিজের সহজাত মননের ব্যবহারে-অভিনয়ের ছন্দ ও সুস্থ স্বাভাবিকতায়। তাঁর সাবলীল অভিনয় দেখে সত্তরের এক কিশোর মুগ্ধ হয়েছিল-তারই সম্প্রসারণ হিসেবেই বোধহয় পরবর্তীকালে সে অপর্ণা-মুগ্ধতার জালে পড়ে। যার রেশ থেকে বোধহয় এখনও সে মুক্ত হতে পারেনি। সত্তরের কোন কিশোর বা যুবকই তা পেরেছে! 'জীবন-সৈকতে' ছবিতে অপর্ণা রীতিমতো বাংলা ছবির প্রতিষ্ঠিত নায়িকা। সেই তো প্রথম সেই কিশোরের প্রথম অপর্ণা দর্শন। তখন সে অপর্ণার একটি ছবিই দেখেছিল। সত্যজিৎ রায়ের 'তিন কন্যা' ছবির মধ্যেকার 'সমাপ্তি'। সেবার সেই অপর্ণার সঙ্গে কোনো কথা হয়নি। কিন্তু আবেশের রেশ হয়ে গিয়েছিল। ১৯৬৮ সালে অপর্ণার 'হংসমিথুন' বলে একটা ছবি মুক্তি পেল। এ
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি