আওরঙ্গজেব ভ্রম নিরসন
সিংহাসন আরোহণ পর্ব ১৬১৮ — ১৬৬৮
বিশ্বেন্দু নন্দ
আহমইআলমগিরি সূত্রে দেখেছি বাল্য বয়স থেকেই প্রথম এবং তৃতীয় শাহজাদার মধ্যে ঠাণ্ডা লড়াই চলেছে। লড়াইয়ের প্রথম দিকে দরবারি কৃষ্টিতে অভ্যস্ত সুসংস্কৃত দারা বাজি মেরে বেরিয়ে যান আর আওরঙ্গজেব বেশ কিছু হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজের কেরিয়ারে ক্ষতি করেন। সেই ঠাণ্ডা লড়াই পরিপূর্ণতা এবং প্রকাশ্য রূপ পাবে, তীব্র যুদ্ধে আওরঙ্গজেবের বলখ দখলে রাখা এবং বলখে অদম্য আবদুল আজিজ খানের অপ্রতিরোধ্য বাহিনীর বিরুদ্ধে তাঁর অসামান্য বিজয় এবং যুদ্ধের মধ্যে সেই অসামান্য ব্যতিক্রমী ঘটনাটি ঘটিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে বিখ্যাত হয়ে ওঠা, এবং তারপরের সময়ে মুলতানে সুবাদারিত্বের তাঁর সাফল্যে। বিপক্ষের বিরুদ্ধে সফল যুদ্ধ মহড়া এবং দক্ষ হাতে প্রশাসন চালানোর অননুকরণীয় দক্ষতা অর্জনের প্রক্রিয়াটি ক্ষমতার অলিন্দে নিরাপদে থাকা অভিজাতরা যে বাঁকা চোখে দেখছে, এ তথ্যটা স্পষ্ট হয়ে যায় পরবর্তী কালের ঘটনাক্রমে। দরবারি ক্ষমতা হাতে থাকায় সম্রাট-দারা-জাহানারা অক্ষ আওরঙ্গজেবকে অপদস্থ করার কোনও সুযোগই বাদ দিলেন না [যদিও এই অক্ষের একমাত্র জাহানারা, ভাই আওরঙ্গজেবকে কিছুটা প্রশ্রয় দিতেন। আওরঙ্গজেব জানতেন জাহানারা তাঁর থেকে অনেক বেশি পছন্দ করেন দারাকে, তবুও তিনি তাঁর দরবার পীড়নে উৎসারিত দুঃখ কষ্ট দূর থেকে জাহানারাকেই জানাতেন। দিদি জাহানারা ছিলেন মুঘল দরবারে তাঁর একমাত্র কিন্তু নড়বড়ে খুঁটি।।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.