আয়তাক্ষীর কাছে
সমীরণ গুহ
কস্তুরী বললো, "বাড়ি থেকে পালিয়ে এলেও তোমার জীবনটাকেই আমি গড়ে দেবো। আমি দুনিয়াকে দেখিয়ে দেবো নিছক এক শরীরী কৌতূহল মেটাতে আমাদের এই অভিযান নয়-এর ভেতরে রয়েছে প্রেমিককে বড় করে গড়ে তোলার জন্য আরও এক নিভৃত- নিরুচ্চার ভালোবাসা! আরও এক বড় স্বপ্ন!"
-----------------
ঔরঙ্গাবাদের স্কুলশিক্ষিকা কস্তুরী কুলকার্নি উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী আর্যদেব আম্রপুরকরকে ইংরেজি পড়ানোর দায়িত্ব নিয়ে আরও একটা বড় দায়িত্ব নিয়ে ফেললো। বছর পাঁচেকের ছোট হওয়া সত্ত্বেও পরীক্ষার শেষে কস্তুরী আর্যদেবকে নিয়েই বাড়ি থেকে পালালো।
শুরু হলো কস্তুরীর আসল লড়াই। প্রেমে পড়ে পালায় তো অনেকেই। তার স্থায়িত্ব ক্ষণকাল। কিন্তু প্রকৃত প্রেমের দায়িত্ব পালন করে ক'জন? গড়পড়তা আর পাঁচজন মেয়ের থেকে কস্তুরী আলাদা বলেই নিজের কুলকার্নি পদবি ছেড়ে অনায়াসেই আম্রপুরকর লেখে।
আর ঔরঙ্গাবাদের বাড়ি ছেড়ে জলগাঁও, ইগতপুরী, মুম্বই পরিক্রমা করে যে কষ্টটা করলো তার মধ্যেও মানুষ করে দিল আর্যদেবকে। ও এখন একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার।
কিন্তু যতো গোল বাধে তো সুখের সময়েই। এক ভুল বোঝাবুঝির কারণে কস্তুরী দ্বিতীয়বার বাড়ি ছাড়লো নিজের সম্মান রক্ষার তাগিদেই। নিজের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য শুরু হলো আরও একটা নতুন লড়াই।
আর যে মেয়ে মাথা উঁচু করে লড়তে পারে সে তো নিজের আকাঙ্ক্ষার জয় দেখতে চাইবেই।
যে জয় অনন্ত ভালোবাসারও। এবং যার নামে গলায় মঙ্গলসূত্র পড়েছে সেই আর্যদেব যখন মুম্বই থেকে সুদূর অমরাবতীতে তার দুয়ারে এসে দাঁড়ায় কস্তুরী কি এরপরেও তাকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারে?
বাড়ি থেকে পালানো নিছক কোনও খেলা নয়-ওটা অনুচ্চারিত ভালোবাসারই এক সংকল্প। মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদ, মুম্বই, নাগপুর অমরাবতীর পটভূমিকায় সমীরণ গৃহ-র "আয়তাক্ষীর কাছে" সেই বিশ্বাস নিয়েই লেখা।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.