এখন সাঁঝবেলা
সমীরণ গুহ
রূম্পালুর সঙ্গে ডিভোর্সের পর আলওয়ার থেকে পালী শহরে ছোটমাসির বাড়িতে একদিন ট্রেনে করে যাওয়ার পথে মহীদীপ যে মেয়েটির পাশে বসে একটাও কথা না বলে সারাটা রাত কাটিয়ে দিল, এমনকী স্টেশন থেকে একই অটোরিকশায় উঠে গোলবাগে নামার পরেও যার সঙ্গে কোনও কথাই হলো না-ঘটনাচক্রে সেই অনুরাধার সঙ্গেই আলাপ-পরিচয় এবং বন্ধুত্বের পর তার বিয়ে হয়ে যায়। অনুরাধারা আসলে ছোটমাসির কয়েকটা বাড়ির পরেই থাকে। ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী।
আলওয়ার থেকে অফিসের কাজে মহীদীপ যোধপুরে গেলে সেখানকার রায়-কা-বাগ স্টেশনের এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে যার মুখোমুখি হয়ে যায় সে রূম্পালু। তার প্রাক্তন স্ত্রী। বত্রিশ বছরের ছেলেটা কী করবে বুঝে উঠতে পারে না। কিন্তু এমন একটা আবহাওয়ার মধ্যে মহীদীপ পড়ে যায় যে কার্নি হোটেলের একটা ঘরে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে দুটো দিন থাকতে হয়।
মহীদীপ ও রূম্পালুর ওই গোপন অধ্যায়টার মধ্যে নৈতিকতার বীজটা এক সময় হারিয়ে যায় বটে, কিন্তু অনুরাধার কাছে এসে মহীদীপ কখন যেন ফিরে পায় এক অসীম বিশ্বাস। আবিষ্কার করে আরও এক নিবিড় ভালোবাসা। অন্যান্য ছেলেদের মতো গোপন না করে মহীদীপ যে সততা ও সাহস দেখালো...তা নিয়েই রাজস্থানের আলওয়ার, যোধপুর, পালী, জয়পুর এবং পিলানী শহরের পটভূমিতে লেখা সমীরণ গুহ-র এই উপন্যাস মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতার এক অনুপ্রেরণাও!!
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.