বাঙলায় পালযুগের সিদ্ধাচার্য
বৈদূর্য্য সরকার
সহজযানী বৌদ্ধদের অধিকাংশ ছিলেন নিম্নবর্গের বৃত্তিজীবি । ফলে তারা সহজ কথায় মুক্তির পথ দেখিয়েছিলেন । তাদের গুরু হিসেবে পাওয়া যায় ডাকিনী বা যোগীদের নাম । যদিও তাঁদের সঠিক পরিচয় মেলে না । ‘চতুরশীতি সিদ্ধ প্রবৃত্তি’-র জীবনী সংকলন থেকে সিদ্ধাচার্যদের কাহিনি পাওয়া যায় । তাদের অতিপ্রাকৃত শক্তি বা সাধনা নিয়ে যে উল্লেখ পাওয়া যায় সেটি খানিকটা অতিশয়োক্তি বলে মনে হলেও মূল সাধনার ক্ষেত্রে ধরে নেওয়া যায় পূর্ব ভারত থেকে তিব্বতে বৌদ্ধধর্ম লোকাচারের সাথে মিলেমিশে গেছিল এঁদের জন্যেই । তাঁদের সান্ধ্যভাষায় রচিত দোঁহায় পাওয়া যায় আর্থ সামাজিক ও ধর্মীয় আচরণের কথা । শ্রমজীবী মানুষ নিত্য কর্ম করেও সাধনায় মন দিয়েছিলেন সিদ্ধাচার্যদের প্রেরণাতেই । এদের উল্লেখ মেলে একাদশ দ্বাদশ শতক পর্যন্ত । চর্যায় বাংলার মাঠ ঘাট গাছপালা অরণ্য পাহাড় সমুদ্রতীরের সাথে মানুষের উল্লেখ পাওয়া যায় । বাঙালির চিরচেনা ভেলা বা নৌকার প্রসঙ্গও এসেছে নানা পদে। চর্যাপদকে বাঙালির আদি সাহিত্য বলা হয়েছে সেই সূত্রে । যা খুঁজলে সাধারণভাবে বাংলার গ্রামের উল্লেখ মেলে এবং তখনকার পরিবেশ পরিস্থিতির কথা জানা যায়।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি