ভগবান শ্রীরামচন্দ্র
ব্রতীন দাস
একটা সমুদ্র থেকে এক কলসি জল তুলে নিয়ে যেমন বোঝা যায় না, সেটা গঙ্গার না যমুনার, তেমনই সুবৃহৎ রামায়ণ থেকে কোনও একটা ঘটনাকে খামচা মেরে তুলে নিয়ে বিচার করা যায় না রামচন্দ্রকে। রামচন্দ্র সমুদ্রের মতোই সুগভীর। তাঁকে বুঝতে গেলে সামগ্রিকতা দিয়েই বুঝতে হবে।
এই বইয়ের ক্ষুদ্র পরিসরে সেই চেষ্টাই করা হয়েছে। তুলে ধরা হয়েছে যুক্তি তর্ক। বলতে চাওয়া হয়েছে, অবতার হয়েও কেন ঐশ্বর্য ভুলে থেকেছেন রাম? তাঁর বিপ্রতীপে কাঁরা ছিলেন? কোন ধর্মের কথা বলতে চেয়েছেন তিনি? রাম কি শুধুই ভারতবর্ষের ভগবান? গোটা পৃথিবীতে রামায়ণের বিস্তার ঘটিয়েছেন কি শুধুই হিন্দুরা?
রাম এমনই একজন, যাঁকে নিয়ে চর্চার শেষ নেই। আর তাই এই বইও শেষ কথা বলবে না। তবুও সময়ের পরিবর্তনে দৃষ্টিভঙ্গির বদল ধরার চেষ্টা মাত্র।
রামায়ণ হল ভারতের এমনই একটি মহাকাব্য, যা প্রকৃত অর্থেই জ্ঞানের ভাণ্ডার। এটির প্রাসঙ্গিকতা শুধু প্রাচীনকালেই আবদ্ধ থাকেনি, হয়ে উঠেছে সমস্ত যুগের সাহিত্য।
স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলে গিয়েছেন, অন্য ইতিহাস কালে কালে কতই পরিবর্তিত হইল।
কিন্তু এ ইতিহাসের পরিবর্তন হয় নাই। ভারতবর্ষের যাহা সাধনা, যাহা সংকল্প, তাহার ইতিহাস এই দুই কাব্যহর্মের (রামায়ণ ও মহাভারত) মধ্যে চিরকালের সিংহাসনে বিরাজমান।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি